'কংগ্রেস-বিজেপি আঁতাত আছে, বিজেপিকে হটাতে তৃণমূল একাই যথেষ্ট' - বেনজির আক্রমণ তৃণমূলের

তৃণমূলের মুখপত্রে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেসের ঐতিহ্যের পতাকা তৃণমূলের হাতে। এটাই সমুদ্র। পচাডোবা আজ অপ্রাসঙ্গিক।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ফাইল চিত্র
Published on

বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে ব্যর্থ কংগ্রেস। বিজেপির বিরোধিতা করার জন্য তারা নিজেরাই যথেষ্ট। শনিবার দলের প্রভাতী মুখপাত্র 'জাগো বাংলা'য় নিজেদের আসল কংগ্রেস বলে দাবি করে অবস্থান স্পষ্ট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ভবানীপুরে নির্বাচনী সভামঞ্চ থেকে বলেন, ‘বিজেপিকে হটাতে তৃণমূল একাই যথেষ্ট। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রমাণ করে দিয়েছে, বিজেপিকে হারাতে পারে তারাই।'

কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা শূন্য। কংগ্রেসের অবস্থা ক্ষয়িষ্ণু বলে তিনি দাবি করেন।
শনিবার দলের মুখপত্রে তৃণমূল কংগ্রেসেের অবস্থান সম্পর্কে লিখেছে, ‘কংগ্রেস তৃণমূলকে হটাতে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা করে।’ এরপরই বিকেলে কলিন লেন ও শেক্সপিয়ার সরণির নির্বাচনী সভাতেও মমতা বলেন, ‘কংগ্রেস ও বিজেপির আঁতাত রয়েছে। তৃণমূলকে ড্যামেজ করতে কংগ্রেসও বিজেপিকে ম্যানেজ করে চলে। আমরা একাই যথেষ্ট বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে।’

তবে কংগ্রেসকে নিয়ে মমতা কেন এত ক্ষুব্ধ, তা নিয়ে চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। দলের মুখপত্রে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেসের ঐতিহ্যের পতাকা তৃণমূলের হাতে। এটাই সমুদ্র। পচাডোবা আজ অপ্রাসঙ্গিক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তালিবানি বিজেপি চলবে না। তালিবানি হিন্দুস্তান বানাতে দেব না।’ দলের মুখপত্রে তৃণমূল দিল্লির কংগ্রেসীদেরও স্বাগত জানিয়েছে।’

২০২২, ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তারপর ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। দলের মুখপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৪, ২০১৯ সালে কংগ্রেসের বারবার ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না। পাল্টা কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, কংগ্রেসকে দুর্বল করে বিজেপির হাত শক্ত করছে তৃণমূল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in