রানিগঞ্জের কয়লাখনিতে ধস, তিনজনের দেহ উদ্ধার পুলিশের, রাত পেরিয়ে সকালেও বিক্ষোভে অগ্নিমিত্রা পাল

People's Reporter: ঘটনাস্থল থেকে বিক্ষোভের 'লাইভ' করেন অগ্নিমিত্রা পাল। ফেসবুকে তিনি দাবি করেছেন সাতটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত এবং আরও অনেকে আটকে আছেন।
বিক্ষোভে অগ্নিমিত্রা পাল
বিক্ষোভে অগ্নিমিত্রা পালছবি সৌজন্যে অগ্নিমিত্রা পালের ফেসবুক
Published on

রানিগঞ্জে খোলামুখ কয়লাখনিতে ধস নামার ঘটনায় তিনজনের দেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। যদিও স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের দাবি সাত থেকে ১০ জন চাপা পড়েছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) এসএস কুলদীপ জানিয়েছেন, ‘‘ভোররাতে তিন জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’’

বুধবার বিকেলে ইসিএল কুনুস্তরিয়া এরিয়ার অন্তর্গত রানিগঞ্জের নারায়ণ কুড়ি খনিতে ধস নামে। তাতে বেশ কয়েকজনের চাপা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। অবৈধ ভাবে কয়লা সংগ্রহে নেমেছিল চাপা পড়া ব্যক্তিরা বলে জানা যায়। প্রথমে পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার না করলেও, স্থানীয়দের চাপের মুখে পড়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে।

রাতেই ঘটনাস্থলে যান আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সাথে কথা বলেন তিনি। এরপর অবিলম্বে দেহগুলি উদ্ধারের দাবি জানিয়ে আসানসোলের সাহেবগঞ্জ মোড়ে দলীয় পতাকা এবং কর্মীদের নিয়ে ধর্নায় বসেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে বিক্ষোভের 'লাইভ' করেন। ফেসবুকে তিনি দাবি করেছেন সাতটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত এবং আরও অনেকে আটকে আছেন। এই সমগ্র ঘটনায় ইসিএল এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।  ভোররাতে এলাকা ছাড়েন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রানিগঞ্জ থানা ঘেরাও করেন তিনি।

ফেসবুকে তিনি বলেন, "বাংলায় কোনো কর্মসংস্থান নেই, গরিব মানুষরা পেটের দায়ে কয়লা চুরি করছে, কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই! নারায়ণগুড়িতে কয়লা খনিতে ধস নামার ফলে গরিব মানুষরা সেখানে আটকে পড়ে, কিন্তু পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছে না, কারণ এই অবৈধভাবে কয়লা চুরির টাকার ভাগ কলকাতার শান্তিনিকেতনে ও কালীঘাটে পৌছায়।"

বিক্ষোভে অগ্নিমিত্রা পাল
একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিলে তা ভুল হতে বাধ্য, রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ খুইয়ে দাবি শান্তনু সেনের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in