

ভোট দরজায় কড়া নাড়লেও এখনও জোরকদমে চলছে দলবদল। তৃণমূল বিজেপি কেউই এই বিষয়ে পিছিয়ে নেই। যেন 'খেলা হবে' শ্লোগানকে মান্যতা দিতেই নির্বাচনী খেলা শুরুর আগে সেরে ফেলা হচ্ছে দলবদল। বুধবারই হুগলীর সাহাগঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় ফের সেই ছবিই দেখা গেল। এদিনের সভা থেকেই তৃণমূলে যোগ দিলেন একঝাঁক তারকা। যাদের মধ্যে আছেন রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, মানালী দে, সায়নী ঘোষ, সুদেষ্ণা রায়, ক্রিকেটার মনোজ তেওয়ারী এবং ফুটবলার সৌমিক দে।
এদিনের জনসভায় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন – আজ বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম এক হয়েছে।... বাইরে থেকে গুন্ডা এনে বাংলাকে ভরিয়ে দেবে। রাজ্য বিক্রি করে দেবে। কিন্তু ওদের জেনে রাখা দরকার গুজরাত বাংলা শাসন করবে না। বাংলাই বাংলা শাসন করবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ফের উঠে আসে সিঙ্গুরের কথা। তিনি বলেন, সিঙ্গুরে ১১ একর জমির ওপর তিনি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করেছেন। ডানকুনি থেকে রেললাইন ধরে শিল্প হতে শুরু করবে।
বিজেপিকে আক্রমণ করে এদিন তিনি বলেন – আপনারা কথায় কথায় তৃণমূলকে তোলাবাজ বলেন। আপনি নিজে তো একজন দাঙ্গাবাজ। আপনারা কোটি কোটি টাকা কাটমানি খান। কারখানা, দেশ সব বিক্রি করে দেন। তিনি আরও বলেন – ঘরের মা বোনদের বলছেন কয়লা চোর। আরে নিজের সারা গায়ে তো ময়লা লেগে আছে। নোটবন্দীর টাকা কোথায় গেল তার জবাব কে দেবে? বি এস এন এল, কোল ইন্ডিয়া কেন বিক্রি হচ্ছে তার জবাব কে দেবে?
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন