খনিজ তেলের সন্ধানে ১০০ বর্গ কিমি খননের দাবিতে রাজ্যকে চিঠি! চার বছরেও মেলেনি অনুমতি, দাবি কেন্দ্রের

People's Reporter: ২০১৮ সালে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে প্রায় ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেলের সন্ধান মেলে। ২০২০ সালে খনিজ তেল উত্তোলনের জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানায় ওএনজিসি।
খনিজ তেলের সন্ধানে ১০০ বর্গ কিমি খননের দাবিতে রাজ্যকে চিঠি! চার বছরেও মেলেনি অনুমতি, দাবি কেন্দ্রের
ছবি - সংগৃহীত
Published on

২০১৮ সালে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে খনিজ তেলের সন্ধান মেলে। এরপরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে। খনিজ তেল উত্তোলনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার জমিতে খননের অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলেনি। সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এমনটা জানালেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।

২০১৮ সালে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে প্রায় ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেলের সন্ধান মেলে। এরপরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তেলের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রের। তালিকায় আছে রানাঘাট, কাঁকপুরের মতো এলাকা। রাজ্যের অন্তত ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেল রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। ২০২০ সালে অশোকনগরে খনিজ তেল উত্তোলনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আবেদন জানায় খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি)।

পেট্রোলিয়াম বা খনিজ তেল দেশের সম্পদ। কিন্তু এটা কোনও রাজ্যের মাটির তলায় থাকলে সেখানে খননের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কাছ থেকে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ (পিএমএল) সংগ্রহ করতে হয়। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মোট ১৯ চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যকে। যার মধ্যে ১৪ টি চিঠি গিয়েছে ওএনজিসি থেকে। তিনটি সরাসরি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। এছাড়া, ডিরেক্টর জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বন থেকে আরও দু’টি চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চার বছর কেটে গেলেও এখনও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর মেলেনি।

সংসদে চলছে শীতকালীন অধিবেশন। অধিবশনে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার রাজ্যে পেট্রোলিয়াম শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। সেই প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।

খনিজ তেল উত্তোলন নিয়ে কেন্দ্রের আরও দাবি, পশ্চিমবঙ্গের জন্য ইতিমধ্যেই ১,০৪৫.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সরকার। খননকার্য শুরু হলে সেই বাবদ পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বছর আয় হতে পারে ৮,১২৬ কোটি টাকা। এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও দাবি, এই খননকার্য শুরু হলে রাজ্যে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in