সভাপতি হয়েও কলেজে ঢুকতে পারছেন না, তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ - ‘সবাই লুটেপুটে খাচ্ছে’

তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর অভিযোগ - কলেজে ঢুকতে গিয়ে তিনি বাধা পান কলেজের প্রাক্তন সভাপতি তৃণমল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অসীম মাঝির কাছে।
মনোরঞ্জন ব্যাপারী
মনোরঞ্জন ব্যাপারীছবি- অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
Published on

সরকার মনোনীত সভাপতি হয়েও জিরাট কলেজে ঢুকতে পারছেন না। এমনই অভিযোগ করলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। এ-ব্যাপারে তিনি অভিযোগ তুললেন নিজের দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। ফেসবুক লাইভে তাঁদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, প্রথম দিন কলেজে ঢুকতে গিয়ে তিনি বাধা পান কলেজের প্রাক্তন সভাপতি তৃণমল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অসীম মাঝির কাছে।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিপাকে ফেলার অভ্যাস বিধায়কের বরাবরেরই। আগে একবার তিনি বলেছিলেন, আগে পাউরুটি জুটত না। এখন বিধায়ক হয়ে মদ, মাংস যা খুশি খাওয়া যায়।নিন্দুকমহলেও ‘‌ঠোঁট কাটা’‌ বলেই পরিচিতি আছে তাঁর। সম্প্রতি জিরাট কলেজে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙানো নিয়ে গন্ডগোল শুরু হয়। ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে তাঁর আরও অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের নিজের নিজের বুথে তৃণমূল হেরেছে। এঁরা তলায় তলায় বিজেপিকে সাহায্য করেছে। প্রকাশ্যে এই অভিযোগ তুলেছেন বিধায়ক। তাঁর আপত্তি, একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর ছবির পাশে শান্তনু ও অসীমের নিজেদের ছবি টাঙিয়ে রাখা নিয়েও।

মনোরঞ্জন ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘ওরা কলেজকে দেখিয়ে লুটেপুটে খাচ্ছে। তাই আমাকে কলেজে ঢুকতে দিতে চায় না। সব দুর্নীতিগ্রস্ত লোকগুলো এখন সংঘবদ্ধ হয়েছে। আমি বলাগড়ে নতুন। গুটিকয় সমর্থক আর মানুষের ভালবাসা ছাড়া আমার পাশে আর কিছু নেই। এক দলের লোক হয়েও ওরা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।’‌ মনোরঞ্জন জানান, তৃণমূল সুপ্রিমো ১০০টি ছবির কোলাজ বানিয়ে জিরাট কলেজে টাঙাবেন। সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে হুগলি জেলা সভাপতিকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in