

আবারও পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিতে সুর চড়ালো বিজেপি। এবার বাংলা ভাগের ডাক দিলেন জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়।
জয়ন্ত রায়ের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। উত্তরবঙ্গের প্রত্যেকটা মানুষের প্রশ্ন, আমরা এভাবে কতদিন বঞ্চিত থাকব? তাই সবার দাবি, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করা হোক।"
সোমবার তিনদিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালের মধ্যেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি জানিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, "যে মিনি সচিবালয়ের স্বপ্ন মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গবাসীকে দেখিয়েছিলেন, সেখানে ক’জন সচিব রয়েছেন এখন? হাজার হাজার মানুষকে রোজ চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হয়। আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা দেন না। যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়েছেন, ওটা স্বাস্থ্যসাথী নাকি স্বাস্থ্যের বিরোধী, নার্সিংহোমে গেলেই তা বোঝা যায়। এই আবহে গরীবদের আরও গরীব করা হচ্ছে।"
পাশাপাশি কেএলও প্রধান জীবন সিংহের ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে জয়ন্ত বাবু বলেন, "জীবন সিংহ উত্তরবঙ্গকে আলাদা করার ভাবনা চিন্তা করছেন। সেদিক থেকে আমি তাঁর বিরুদ্ধে নই।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেএলও প্রধান জীবন সিংহ-এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচ–কামতাপুরে পা ফেলবেন না। কোচ–কামতাপুর গঠনে কোনও হস্তক্ষেপ বা বিরোধিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারবেন না। বলপূর্বক কিছু করতে এলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন উৎসর্গ করে দেব। রক্তের বন্যা বইয়ে দেব।" যদিও পিপলস রিপোর্টার এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার বিক্ষিপ্তভাবে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতারা। বিধায়ক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদরাও সেই তালিকায় আছেন। তালিকায় আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, দার্জিলিং-এর বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত এবং দিনহাটার বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। তবে দক্ষিণবঙ্গের বিজেপি নেতারা উত্তরবঙ্গের নেতাদের এই মন্তব্যে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাননি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন