
রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সিপিআইএম নেতা রবীন দেব। তিনি দাবি করলেন, ব্রাত্য বসু এক সময় কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের বেতন ভোগ করতেন। এ বিষয়ে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
শুক্রবার রবীন দেব বলেন, "২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর মমতা ব্যানার্জি যখন রেলমন্ত্রী হলেন তখন কতগুলি কমিটিতে কয়েকজনকে ঢুকিয়েছিলেন। ব্রাত্য বসুও সেই উপদেষ্টা কমিটিতে ছিলেন। ব্রাত্য বসু অধ্যাপনার মাইনেও নিয়েছিলেন এবং দিল্লিতে যে কমিটিতে ছিলেন তারও মাইনে নিয়েছিলেন। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই তথ্য তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু তিনিও অধ্যাপক ছিলেন বলে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি"।
রবীন দেব আরও বলেন, ব্রাত্য বসু ২০১১ সালের আগে যা ঘটেছে সেগুলি নিয়ে বর্তমানের ব্যাপক দুর্নীতি ঢাকতে চাইছে। এখন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে আছেন। যাঁকে দল সরিয়ে দিল পদ থেকে। হঠাৎ কুণাল এখন বলছে 'পার্থ-দা'। কিছু দিন আগেই বলেছে পার্থ চ্যাটার্জির দায়িত্ব আমরা নেব না। আগে নাকি কুণাল ট্যুইট করেছে। তারপরে জেলের সুপার দেবশীষ চক্রবর্তীর সাথে পার্থ চ্যাটার্জি বৈঠক করেন। তারপর সাংবাদিকদের সামনে বললেন।
পার্থ বা ওনার আইনজীবী বলবেন আদালতের মধ্যে। কারণ হাজিরা দিতে এসেছিলেন আদালতে। বাইরে বললেন ২০০৯-১০ সালে নাকি সুজন চক্রবর্তী ও অন্যান্যরা তাঁর কাছে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। ওনার মাথার ঠিক নেই। ২০০৯-১০ সালে বামফ্রন্টের সরকার। সেখানে কেন ওদের কাছে যাবে?
রবীন দেব আরও বলেন, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী ১৯৮৭ সালে চাকরি পেয়েছিলেন। আর এখন ২০২৩ সালে এসে সেই চাকরি নিয়ে কথা উঠছে। আজকে তৃণমূল দলটা পুরো দুর্নীতির সাথে যুক্ত। নিজেরা বাঁচার জন্য মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য বাম আমলের কথা তুলছে তৃণমূল।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন