Arjun Singh: অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজি, জখম প্রাক্তন সাংসদ, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে

People's Reporter: শুক্রবার সকালে জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে উত্তেজনা ছড়ায় হামলার জন্য। নিজেই সেই হামলার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন।
অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে হামলা
অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে হামলাছবি - সংগৃহীত
Published on

শুক্রবার সাত সকালে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজি। ইট-বোমা-গুলি নিয়ে দুষ্কৃতিরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ অর্জুনের। অর্জুন জানিয়েছেন, বোমার স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে তাঁর পায়ে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

শুক্রবার সকালে জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে উত্তেজনা ছড়ায় হামলার জন্য। নিজেই সেই হামলার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন। অর্জুন সিং জানিয়েছেন, ‘‘আমি বাড়ির ভিতরে ছিলাম। আমার নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মীদের উপর ইট, বোমা ছোড়া হয়। গুলিও চলে। বিধায়ক বসেছিলেন। তাঁর উপরেও হামলা হয়। আমার পায়ে বোমার স্প্লিন্টার লেগেছে।’’

বিজেপি নেতার দাবি, তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা মজদুর ভবনের সামনে হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সামনেই ২৫ টির বেশী বোম ছোড়া হয়েছে। অর্জুনের আরও অভিযোগ, এরপর গুলি ছুড়তে ছুড়তে এলাকা ছাড়েন দুষ্কৃতিরা। স্থানীয় এক কাউন্সিলরের ছেলে এবং তার সঙ্গে আরও ১৫-২০ জন মিলে হামলা চালিয়েছেন। পাশাপাশি, স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধেও নিরব থাকার অভিযোগ তোলেন তিনি।

যদিও অর্জুন সিংয়ের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করছেন অর্জুন সিং। গুলি চালিয়েছেন অর্জুন সিং নিজেই। অর্জুন চেষ্টা করছেন ব্যারাকপুরকে অশান্ত করতে। বাংলার পুলিশ ওঁর এই চেষ্টা সফল হতে দেবে না কখনও।“

উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও অর্জুনের বাড়ি মজদুর ভবনের সামনে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সেই সময় অর্জুন অভিযোগ তুলেছিলেন, ভবানীপুরের উপনির্বাচনে দলীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালনের কারণেই ওই হামলা হয়েছিল। সেই সময় গোটা ঘটনার তদন্ত করেছিল এনআইএ।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in