বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে - দিলীপ ও সুকান্ত অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর

এবারে ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাট শহর। দু'পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সভা শুরুর আগে ভাঙচুর করা হয় চেয়ার।
দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার
দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারফাইল চিত্র
Published on

অন্তর্দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত গেরুয়া শিবির। ফের একবার দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল। এবারে ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাট শহর। ঘটনার প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সভাপতি, এই দুই পক্ষের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। প্রচার সভার আগে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সভা শুরুর আগে ভাঙচুর করা হয় চেয়ার।

জানা গিয়েছে, দাঁইহাটের বাগতিকর এলাকায় বিজেপির বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা কার্যালয় অফিসে দলের পক্ষ থেকে বিশেষ সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়। রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথম জেলা সফরে বেরিয়েছেন সুকান্ত। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার বীরভূম থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এদিন কাটোয়ার নেতাজি সুভাষ রোডে বিজেপির কার্যালয়েও হওয়ার কথা বিজেপির সাংগঠনিক সভা।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সর্ব ভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিত থাকার কথা ছিল সেখানে। তারপর বিকেলে নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ আসার আগে সেখানে তুমূল অশান্তি তৈরি হয়।

এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ দলের একাংশ বিজেপির বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ ও দাঁইহাট নগর কমিটির সভাপতি অনুপ বসুকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, একুশে নির্বাচনে বিজেপির ফল খারাপের জন্য দায়ী কৃষ্ণ ঘোষ ও অনুপ বসুর মতো নেতা। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পর কর্মীদের কোনও খোঁজ নেননি তাঁরা। ক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের পদত্যাগের দাবি জানান।

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে অন্য কর্মীরা দীর্ঘ চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। এদিনে ঘটনা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা করেছে, কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে, তারা বিজেপির কর্মী হতে পারেন না।, অভিযুক্তদের কেউ বিজেপির সদস্য হলে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বিরোধী দল করাটা সহজ নয়। আমরা ক্ষমতা দখল করতে পারিনি, তাই যারা ক্ষমতার লোভে এসেছিলেন, তারাই এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছেন।'

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in