

আবারও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তোপ দাগলেন তথাগত রায়। এটা অবশ্য প্রথম নয়। ট্যুইটে ক্রমাগত আক্রমণ করে থাকেন তিনি। কখনও দিলীপ ঘোষ, আবার কখনও কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। এদিন ট্যুইট করে তিনি দাবি করেন – বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বিধানসভা ভোটের সময় 'অসহায় বোড়ে'তে পরিনত করেছিল। তাই তাঁর বিশেষ কিছু করার ছিল না।
এদিন একটু সহমর্মিতা দেখালেও কিছুদিন আগেও দিলীপ ঘোষকে বেলাগাম আক্রমণ করেছিলেন তথাগত। দিলীপ ঘোষকে ‘অশিক্ষিত’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। বিরক্ত দিলীপ ঘোষ তাঁকে দল ছাড়ার পরামর্শ দেন।
এদিন ট্যুইটে তিনি লেখেন – “যতদূর জানতে পারছি, দিলীপ ঘোষের প্রতি আমার সহমর্মিতা বাড়ছে। এখানে আসা কেন্দ্রীয় নেতারা (কেএসএ টিম) তাঁকে একটি অসহায় বোড়েতে পরিণত করেছিল। দিলীপ নিজেও তাই বলেছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আত্মহননের ঘটনা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে”। এই ‘কেএসএ টিম’ বলতে তথাগত রায় – বাংলার ভারপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিব প্রকাশ এবং অরবিন্দ মেননকে উল্লেখ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। তিন কেন্দ্রে জামানত জব্দ হয়েছে। এই ফল সামনে আসাতেই দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা ভাঁড়ামো করছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, “আমি প্রকাশ্যে বিজেপি নেতাদের নিন্দা করেছি বলে কেউ কেউ মর্মাহত হয়েছেন। শুনে নিন। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে একটি কথাও বলিনি। দলের ভিতরে বলেছি। নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিশ্লেষণের চেষ্টা নেই। উল্টে ৩ থেকে ৭৭টি আসন হয়েছে বলে পিঠ চাপড়াচ্ছে। তখন বাধ্য হয়েই এই কথাগুলো বলতে হল”।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন