
বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। রাজ্য জুড়ে অসংখ্য কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে তাবড় নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শুধু তৃণমূল থেকে নয়, বাম-কংগ্রেস থেকেও অনেকে বিজেপিতে যান। বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক পর থেকেই এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। দলে দলে তৃণমূলে যোগদান পর্ব শুরু করে।
তার জেরে বাঁকুড়ায় শক্তি হারাল গেরুয়া শিবির। পাত্রসায়রের কুশদ্বীপ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৫২০টি পরিবারের ১৫০০ জন সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এমনটাই দাবি করেছে তৃণমূল। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঁকুড়া জেলার তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা-সহ অন্যান্যরা।
শ্যামলবাবু জানান, কুশদ্বীপ অঞ্চলে ৫২০টি পরিবার বিজেপির দলীয় পতাকা ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। বিজেপির উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ভোটের আগে যে বিজেপি নেতারা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করছিলেন, বাংলার বুকে ভোটের পরে তাঁদের আর দেখা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, এই পাত্রসায়র এলাকাটি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র ও ইন্দাস বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত এবং দু'টোই বিজেপির দখলে। তারপরও ঘাসফুল শিবিরে ১৫০০ জনের যোগদান গেরুয়া শিবিরে বড় ভাঙন বলে মনে করছে জেলা রাজনৈতিক মহল।
এই যোগদান প্রসঙ্গে ইন্দাস বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমার ধারা বলেন, তৃণমূল মিথ্যা অপপ্রচার করছে। কোনও বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেননি। প্রচারে আসার জন্য তৃণমূল নিজেদের কর্মীদেরই যোগদান করাচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন