

জীবিতের ছবি দিয়ে নাম পাল্টে মৃত বানিয়ে দিল বিজেপি। সঙ্গে জুড়ে দিল বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর তৃণমূলের হিংসার জেরে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য। দিল্লির জীবিত সাংবাদিক অভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে গেলেন কোচবিহারের ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার মানিক মৈত্র। ইতিমধ্যে নাম না করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ভুয়ো ছবি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার অবশ্য দেশজুড়ে একই অভিযোগে সমালোচনার মুখোমুখী হতে হল গেরুয়া শিবিরকে। পেশায় সাংবাদিক অভ্র জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখেন যে, ফোনে প্রায় ১০০টি মিসডকল এবং অসংখ্য হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজ। এক বন্ধুর মেসেজ পড়ে জানতে পারেন, শীতলকুচিতে ভোট-পরবর্তী হিংসায় মৃত হিসেবে তাঁর ছবি ব্যবহার করেছে বঙ্গ বিজেপি। তিনি নিজেও সেই ভিডিও দেখেন। তিনি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কর্মরত এবং কাজের সূত্রেই তিনি দিল্লিতেই থাকছেন।
অভ্রের প্রশ্ন, 'ভোট-পরবর্তী হিংসায়' মৃতের বদলে খুন বা ধর্ষণের মতো ঘটনায় তাঁর ছবি ব্যবহার করাহলে তাঁকে কীরকম অবস্থার মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হত? বিজেপি অবশ্য এই প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটেছে। ঘটনার ভিডিও দেখেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে অভ্র পোস্ট করেন, 'আমি অভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে সুস্থ-সবলভাবে শীতলকুচি থেকে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দূরে আছি। বিজেপির আইটি সেল এখন দাবি করছে যে আমি নাকি মানিক মৈত্র এবং শীতলকুচিতে মারা গিয়েছি। এই ধরনের ভুয়ো খবরে বিশ্বাস করবেন না। দয়া করে উদ্বিগ্ন হবেন না। আমি আবারও বলছি, আমি (এখনও) বেঁচে আছি।'
ভাইরাল হয় তাঁর পোস্ট। কয়েকঘণ্টা পর বিজেপির তরফে সাফাই দেওয়া হয় যে ভুলবশত অভ্রের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ছবির সত্যতা অবশ্য যাচাই করা হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন