

বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল তিনি তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিজেপির কোন কর্মসূচিতেই তিনি উপস্থিত থাকেননি। বিধানসভাতেও বিজেপি বিধায়কদের বদলে তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরেই তাঁকে দেখা যেত।
এরপর মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলে ফেরা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় তখনই। কারণ রাজনৈতিক মহলে তিনি মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। মুকুল রায়ের হাত ধরেই ২০১৯ সালে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। নির্বাচনে বিজেপি-র ভরাডুবিতেও বাগদায় জয় পান বিশ্বজিৎ।
তৃণমূল মহাসচিবপার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে আজ তিনি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করলেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন – “বিজেপিতে কাজ করার পরিবেশ নেই”। মমতা ব্যানার্জির একজন অনুগত সৈনিক হিসাবে কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকালই বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হতে না হতেই আবার বিজেপিতে ভাঙন। আপাতত বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে ৭২ জনে এসেছে ঠেকেছে। আগামী দিনে সংখ্যাটা যে আরও কমতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন