
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছ'মাসের মধ্যে কোনও একটি কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে জিতে আসতে হবে। এটাই নিয়ম নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু তা এখনও হয়নি। তার মুখ্যমন্ত্রীত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। পাশাপাশি আরও কয়েকটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। কিন্তু বিজেপি হতে দিচ্ছে না, এমন অভিযোগ তৃণমূলের বরাবরের। কিন্তু উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি।
সূত্রের খবর, তাই চলতি সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করতে চলেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিজেপি হারের মুখ দেখতে চাইছে না বলে উপনির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে। কয়েকদিন আগেই তথাগত রায় ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, একটা থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন কি করা যায়?
তারপর থেকেই বিজেপির শীর্ষ নেতারা নতুন করে পরিকল্পনা করতে চাইছেন। বিজেপির বক্তব্য, এখন উপনির্বাচন সম্ভব নয়। তার জন্য ৮টি কারণের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ৮টি কারণ হল -
১. রাজ্যবাসী এখনও করোনা আবহে দিন কাটাচ্ছেন।
২. রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাস চলছে কম যাত্রী নিয়ে।
৩. সেপ্টেম্বর–অক্টোবর মাসে তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে।
৪. অক্টোবর মাস উৎসবের মাস।
৫. পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ লাগু রেখেছে।
৬. দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরী–সহ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।
৭. রাজ্য সরকার ১২২টি পুরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছে।
৮. রাজ্য সরকারের পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সুতরাং উপনির্বাচন এখন অপরিহার্য নয়।
উপনির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দলের মতামত জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচনের দাবিতে তৃণমূল নির্বাচন কমিশনের কাছর সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের কোভিড সংক্রমণের রিপোর্ট সঙ্গে নিয়ে যাবে। যেখানে কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হবে, যেহেতু এই কেন্দ্রগুলি–সহ বাকি রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তাই দ্রুত উপনির্বাচনের আয়োজন করা হোক।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিজেপি যেভাবে হোক উপনির্বাচন আটকে দিতে চাইছে। যাতে সরকার ফেলতে না পারলেও মুখ্যমন্ত্রীকে গদিচ্যুত করা যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন