Birbhum: আইসিকে অনুব্রতর কুকথা কাণ্ডে মহিলা কমিশনের তলব এড়ালো বীরভূমের এসপি! নেপথ্যে কারণ কী?
বোলপুর থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। যা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক ছড়ায়। এনিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপকে ১ জুলাই হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। কিন্তু এদিন হাজিরা দেননি পুলিশ সুপার (SP)। আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বোলপুর থানার আইসি লিটন দাসকে ফোন করে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন বীরভূমের প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই ফোন কলের অডিও ভাইরাল হয় (এর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। এরপর শুরু হয় বিতর্ক। এমনকি দিল্লি পর্যন্ত গড়িয়েছে সেই জল। পরিস্থিতির ব্যাখ্যা চেয়ে দু'বার অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করেছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। কিন্তু কোনওবারই সন্তুষ্ট হয়নি কমিশন। অবশেষে বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপকে তলব করে জাতীয় মহিলা কমিশন।
গত ২৪ জুন মহিলা কমিশনের তরফ থেকে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়। ১ জুলাই অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ জাতীয় মহিলা কমিশনের অফিসে ডেকে পাঠানো হয় বীরভূমের SP-কে। একই সঙ্গে জানানো হয়, তিনি যেতে না পারলে, তাঁর জায়গায় উপস্থিত থাকতে হবে বোলপুরের অ্যাডিশনাল এসপি বা বোলপুরের SDPO-কে।
কমিশনের তরফে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও কলকাতার ফরেন্সিক বিভাগ থেকে এখনও কোনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ফরেন্সিক বিভাগে চিঠি দিয়ে এখনই রিপোর্ট চাওয়া হোক। একই সঙ্গে চিঠিতে জানানো হয়, এফআইআর অনুযায়ী যে ধারাগুলি দেওয়া হয়েছে তা অভিযোগের গুরুত্ব অনুযাযী যথেষ্ট নয়।
কিন্তু কমিশনের তলবে বীরভূমের পুলিশ সুপার দিল্লি গেলেন না। এদিন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে তিনি জানান, বেশ কিছু ঘটনা এবং হুল উৎসবের কারণে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন তিনি ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। কমিশনের কাছে সুপারের আবেদন, সমস্যার কথা মাথায় রেখেই যেন সমস্ত দিক বিবেচনা করা হয়।
এর আগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে টেকেন রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি চিঠিতে জাতীয় মহিলা কমিশন উল্লেখ করেছিল তাঁর বিরুদ্ধে মহিলার শালীনতা লঙ্ঘন করার উদ্দেশ্যে শব্দপ্রয়োগের জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারা, শান্তি নষ্ট করতে প্ররোচনা দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান করার জন্য ৩৫২ ধারা, এবং মহিলার শালীনতা লঙ্ঘনের উদ্দেশ্য নিয়ে অপরাধমূলক বলপ্রয়োগের জন্য ৭৪ ধারায় মামলা রুজু করা হোক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন