“মীরজাফর গদ্দার বেইমানদের কোনো ঠাঁই নেই” - ডোমজুড় জুড়ে ফের রাজীবের বিরুদ্ধে পোস্টার

পোস্টারে লেখা আছে- নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে সেচ দপ্তরে তদন্ত কমিটি বসিয়ে গদ্দারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
রাজীব বিরোধী পোস্টারে ছয়লাপ ডোমজুড়
রাজীব বিরোধী পোস্টারে ছয়লাপ ডোমজুড় নিজস্ব চিত্র

ডোমজুড়ের বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করে ফের পোস্টার পড়ল। শনিবার সকালে ডোমজুড়ের বাঁকড়া এলাকায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার এবং ফ্লেক্স দেখা যায়। যদিও ওই পোস্টারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো নাম ছিল না।

পোস্টারে লেখা আছে - বাংলার মীরজাফর গদ্দার বেইমানদের কোন ঠাঁই নেই। অপর একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে - দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দলের কর্মীদের আবেদন সেচ দপ্তরে তদন্ত কমিটি বসিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত গদ্দারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। পোস্টার বা ফ্লেক্সের নিচে লেখা আছে ডোমজুড় কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেস।

উল্লেখ্য, তৃণমূল সরকারের সেচমন্ত্রী ও বনমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদল করে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান তিনি। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি কিন্তু হেরে যান।

রাজীব বিরোধী পোস্টারে ছয়লাপ ডোমজুড়
“কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬-র জুজু বাংলা ভালোভাবে নেবে না” - এবার বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্প্রতি তাঁর একটি রাজনৈতিক টুইটে বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন কথায় কথায় দিল্লি বা ৩৫৬ ধারা বাংলার মানুষ ভাল চোখে নেবেননা। এরপর তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। তখন থেকেই ডোমজুড়ের বিভিন্ন এলাকায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়া শুরু হয়। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন চরমপন্থী গদ্দারদের দলে নেওয়া হবে না।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টারনিজস্ব চিত্র

অন্যদিকে, উত্তর চব্বিশ পরগনায় বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরার স্পষ্টতর ইঙ্গিত মিলল। মুকুল অনুগামী বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস দল ছাড়তে পারেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি বিধায়ক বলেছেন - "মুকুল রায়ের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার মধুর সম্পর্ক। এটার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যৎ বলবে আমি কি করবো।"

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in