
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের বিজয় রথ ছুটলেও বনগাঁ এসে থমকে যায় রথের চাকা। তারপর বনগাঁ উদ্ধারে মরিয়া চেষ্টায় শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । নেওয়া হয় মিশন বনগাঁ পাঁচটি বিধানসভা নিয়ে বানানো হয় বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলা। গোপাল শেঠকে মাথায় রেখে সভাপতি করা হয় আলো রানী সরকারকে।
সম্প্রতি বাগদা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শুক্রবার বনগাঁ বাটার মোড়ে মিলন মেলা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব , মন্ডল সভাপতি সহ ২২০০ কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে বনগাঁ উত্তর পৌর মন্ডল প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি শোভন বৈদ্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল দায়ী করেছেন। জেলা সভাপতির সঙ্গে সাংসদের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে বলে দাবি করেন।
তাঁকে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন - 'আমি আগেই পদত্যাগ করেছি।' তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করব জেনে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবিষয়ে বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলো রানী সরকার জানান - 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে দেখে দলে দলে বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন।'
বিজেপি কর্মীদের আগে বহিষ্কার প্রসঙ্গে বলেন বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবে সেটা জেনে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। বনগাঁ বিজেপি জেলা সাংগঠনিক সহ-সভাপতি দেবর্ষি বিশ্বাস জানাই ২২০০ কর্মী যোগদান প্রসঙ্গে বলেন এটা পুরোপুরি মিথ্যা। যারা যোগদান করেছে তাদের আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন