মন্ত্রীদের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কেন্দ্রের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গাড়িতে লাল বাতি ব্যবহার করেন না। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে যে গাড়িতে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কলকাতায় আসেন, সেই গাড়ির মাথায় ছিল লাল বাতি।
নিজাম প্যালেসে যাওয়ার বদলে পথ ঘুরিয়ে যে কালো গাড়িতে তিনি এসএসকেএমে যান, সেই গাড়িতেও ছিল লাল বাতি। একজন জেলা সভাপতি হিসাবে তিনি কীভাবে গাড়িতে লাল বাতি ব্যবহার করলেন, তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল সিবিআই।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি নিজের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন না। মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ সবার ক্ষেত্রেই একই নিয়ম। কেন্দ্রের আইন অনুযায়ী, বিমানবন্দর, বন্দর ও খনির গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের গাড়িতে হলুদ বা অ্যাম্বর আলো লাগানো যাবে।
অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের গাড়িতে ব্যবহার হয় নীল আলো। লাল-নীল ‘মাল্টি-কালার্ড’ আলোও ব্যবহার করতে পারেন কেউ কেউ। কিন্তু কেষ্টর গাড়িতে লাল বাতি কেন? ২০১৭ সালের ১ মে কেন্দ্রের সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী, কমিশনের সভাপতিও লালবাতি নিয়ে ঘুরতে পারেন না। শুধু জেলাশাসকের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জেলার মধ্যে লালবাতি নিয়ে ঘুরতে পারেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার যে গাড়িতে বীরভূম থেকে কলকাতা আসেন কেষ্ট, সেটি ২০১৭ সালের ২৪ মে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে। কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়িতেও তাহলে লালবাতি কেন? উঠছে প্রশ্ন। বীরভূম জেলা প্রশাসন অবশ্য সাফাই দিয়েছে যে, তারা এই বিষয়ে কিছুই জানে না। উল্লেখ্য, অনুব্রত দুটি কমিশনের চেয়ারম্যান, পদমর্যাদায় তিনি মন্ত্রীর সমতূল্য। কিন্তু যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রীরাও লালবাতি নিয়ে ঘুরে বেরোন না, সেখানে অনুব্রত কী করে চড়লেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার গরু পাচারকান্ডে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। তিনি তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে সকাল সওয়া ১০টা নাগাদ গাড়ি নিয়ে বের হলেও নিজাম প্যালেসের নাকের ডগা দিয়েই ঘুরে চলে যান এসএসকেএমে। হেঁটেই হাসপাতালে ঢুকলেও পরে পাঁজাকোলা করে তাঁকে ঢোকানো হয় উডবার্ন ব্লকে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।