
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিল বামেরা। ১৫ দিন ধরে তারা আন্দোলন চালাবে। আগামী ২৪ জুন থেকে এই বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হবে।
বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হাতে ফিরেছে বামফ্রন্ট। রেড ভলান্টিয়াররা কোভিড পরিস্থিতিতে প্রশংসনীয় কাজ করছেন বটে, কিন্তু তাতে রাজনীতির রং লাগাতে চান না কেউই। তাই এই পরিস্থিতিতে কর্মসূচিহীন হয়ে থাকলে আরও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে বামফ্রন্ট। এই আশঙ্কায় কীভাবে কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনায় বসে ফ্রন্ট।
তাতেই পথে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানালেন আরএসপির সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য। নির্বাচনের আগে ফ্রন্টের বাইরে থাকা অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি তারা। তাই এবার কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলে সেই সম্পর্কই পুনর্গঠনের চেষ্টা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বামেরা একা নয়, তাদেরও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে। তবে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা কংগ্রেসকে এই আন্দোলন কর্মসূচিতে ডাকা হবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু ঠিক হয়নি।
এক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চায় না নেতৃত্ব। পাশাপাশি বাম নেতারা মনে করছেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সাংবিধানিক প্রধান হয়ে যেভাবে রাজ্যের প্রতিটি পদক্ষেপের সমালোচনা করেন, তা ঠিক নয়। সাংবিধানিক প্রধানের এই ধরনের পদক্ষেপেরও বিরোধিতা করা হবে। তবে ফরোয়ার্ড ব্লকের 'বামফ্রন্টে আছি, মোর্চায় নেই' ভাবনা নিয়ে এখনই আলোচনার কিছু নেই বলে বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে।
নির্বাচনে বিপর্যয়ের কারণ ফরোয়ার্ড ব্লক এবং সিপিএমের ভাবনায় দুরকম। তা নিয়ে দু'পক্ষের তিক্ততা কম হয়নি। ফরোয়ার্ড ব্লকের সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বামফ্রন্টের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শরিককে চিঠি দিলে ফরোয়ার্ড ব্লক জানায়, ফ্রন্টে থাকলেও মোর্চায় থাকতে চায় না তাঁরা। কিন্তু মঙ্গলবার বৈঠকে ঠিক হয়, বিষয়টা নিয়ে পরে আলোচনা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন