বিজেপি ও তৃণমূলের নীতির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। একদিকে দিল্লি গিয়ে কৃষকদের আন্দোলন সমর্থন করছে, অন্যদিকে রাজ্যে ধর্মঘট পালনের বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। গণতন্ত্রের প্রশ্নে দুই দলের নীতির মধ্যে কোনও ফারাক নেই। রায়গঞ্জে বামেদের সম্মেলনে এমনটাই বললেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
১৯ তম রাজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে। সেখানে জনসভা করতে গিয়ে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের পক্ষ থেকে। শেষপর্যন্ত পুলিশের আপত্তিতে খোলা মঞ্চেই ভাষণ দেন মানিক সরকার, মহম্মদ সেলিমরা। শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জের রেল ময়দানে প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন হয়। গোটা এলাকা ছেয়ে যায় লাল পতাকায়।
ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার-সহ শীর্ষ বাম নেতৃত্বের। ডিওয়াইএফআইয়ের অভিযোগ, শনিবার সকালে পুলিশ মঞ্চটি খুলে দেয়। যদিও আগে থেকে পুলিশের অনুমতি নেওয়া ছিল বলে দাবি করেছে সংগঠন। পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের সভা করতে দেয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু মঞ্চ খোলার সময় পুলিশকে ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছে। অন্য দিকে, রায়গঞ্জের তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অনুমতি না নিয়ে সভা করতে যাওয়ায় পুলিশ বাধা দিয়েছে।
মানিক সরকার বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানিক সরকারের নেতৃত্বে বামেরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর রাজ্যে সেই বামেদের বক্তব্য রাখতে বাধা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পুলিশ। কেন্দ্রীয় সরকার ভিন্ন কোনও নীতির প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। কৃষক আন্দোলনের স্বপক্ষে থাকার ভান করে রাজ্যে ধর্মঘটের বিপক্ষে ছিল সরকার। এই মুহূর্তে দেশের কৃষক, মজুর, শ্রমিক কেউ ভালো নেই। ভালো আছে শুধু আদানি, আম্বানি পুঁজিপতিরা। দেশের সরকারও শুধুমাত্র কর্পোরেটদের স্বার্থেই আইন তৈরি করছে। ১০ মাস কৃষক আন্দোলন হয়ে গেল। দু'বার ভারতব্যাপী ধর্মঘট করে ফেলল।
ত্রিপুরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে সিপিএমই একমাত্র বিজেপির লক্ষ্য হয়ে গেল। তাতে যদি শুধু মনে করে বামেরা আক্রান্ত হবেন, তা নয়। ভালো থাকবে না সাধারণ মানুষও। আইনের শাসনে জঙ্গলে পরিণত হতে চলছে ত্রিপুরা। পঞ্চায়েত ভোটে ৯০ শতাংশ আসনে বিরোধীদের দাঁড়াতে দেয়নি। সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত হচ্ছে। ত্রিপুরার মানুষ মেনে নেবে না।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।