কিষাণ সম্মান নিধির টাকা মেটানোর দাবিতে কৃষক অধিকার যাত্রা শুরু আজ

গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, একুশের নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় সরকার গড়লে প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়েই কৃষকদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
অধিকার যাত্রা শুরুর আগে
অধিকার যাত্রা শুরুর আগেছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
Published on

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা অবিলম্বে বাংলার বঞ্চিত কৃষকদের মিটিয়ে দেওয়া হোক। এই দাবি তুলে কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির তরফে আজ থেকে 'কিষান অধিকার যাত্রা'র ডাক দেওয়া হয়েছে। যাত্রা শুরু হবে সুন্দরবন অঞ্চল থেকে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত প্রথম দফার এই যাত্রা চলবে। তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য জেলাতেও কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এই অভিযান চলবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কিষান সম্মাননিধি প্রকল্পের টাকা পান না বাংলার কৃষকরা। এই অভিযোগ অনেকদিনের। কেন্দ্রের প্রশ্ন, দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরা যে সুবিধা পাচ্ছেন, লাভবান হচ্ছেন, তা থেকে কেন বঞ্চিত থাকবেন বাংলার কৃষকরা। আর কৃষকদের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে সহযোগিতা না করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কৃষকদের নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যই নাকি দেওয়া হয়নি রাজ্যের পক্ষে। বিধানসভা নির্বাচন প্রায় দোরগোড়ায়। কিন্তু কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এই নির্বাচনের ফলাফলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয় সমন্বয় কমিটি। এই কমিটির রাজ্য শাখা স্পষ্টই জানিয়েছে, কিষান সম্মাননিধি প্রকল্পের টাকা বাংলার কৃষকদের হাতে তুলে দিতে বিধানসভা নির্বাচনের ফলকে কোনও ভাবেই প্রধান 'শর্ত' হিসেবে ধরা চলবে না।

গত রবিবার বাংলায় ঝটিকা সফরে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শিল্পনগরী হলদিয়ায় জনসভা করে একপ্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করে গিয়েছেন তিনি। সেখানেই মোদি ঘোষণা করেছিলেন, একুশের নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় সরকার গড়লে প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়েই কৃষকদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।

সমন্বয় কমিটির পক্ষে মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে হাজির ছিলেন কার্তিক পাল, হাফিজ আলম সৈরানি, অভীক সাহা, সমীর পূততুণ্ড। তাঁদের দাবি, এই বিষয়ে রাজনৈতিক তরজা বন্ধ হোক। কেন্দ্র ও রাজ্য নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কৃষকদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুক।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in