
বঙ্গে বিজেপিকে জায়গা করে দেওয়ার মূলে একমাত্র ভূমিকা রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। বরাবর এই অভিযোগ করে এসেছে বামপন্থীরা। এরই মাঝে এবার সাংবাদিক সম্মেলনে মিঠুন চক্রবর্তীকে একহাত নিলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
রবিবার বারাসাতের সভা শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেন, তৃণমূল সাংসদ হওয়ার পর এবার বিজেপির হয়ে সরাসরি প্রচার করতে মাঠে নেমে পড়েছেন মিঠুন। যার ফলে জাত, মর্যাদা খুইয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মিঠুন চক্রবর্তী তো বিরাট ব্যাপার! সাধারণ মানুষ তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন, ভরসা করতেন। কিন্তু তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে সাংসদ হলেন, আবার এক ফোনে লাফ দিয়ে বিজেপিতে গেলেন। এখন তিনি কী করতে চান, বুঝি না৷ বাংলার মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা মানুষ চাইলেও, উনি ক্ষীণ করে দিয়েছেন৷
এদিন মিঠুনের পাশাপাশি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুজন। তাঁর কথায়, শুভেন্দু বাবু যে টাকাকে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা বলে দাবি করছেন, সেটা তো আসলে সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও কাজ করলে এমন ভাব দেখায়, যেন টাকাটা তারা নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি থেকে দিচ্ছে৷ মানুষের ট্যাক্সের টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে লুঠ করছে৷
বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কটাক্ষ করে সিপিআই(এম) নেতা বলেন, ওটা কীসের আন্দোলন ছিল? পয়সা দিয়ে মিডিয়ায় ছবি ছাপিয়ে শাসকদলের সঙ্গে বোঝাপড়া করে আন্দোলন হয় না৷ লড়াই কাকে বলে সেটা বামেরা প্রতিদিন দেখাচ্ছে৷ ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বামেরা৷
রাজ্যে শিল্প, কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী চপশিল্প করেছেন, প্রধানমন্ত্রী পকোড়া শিল্প করেছেন। বলতে কোনও সন্দেহ নেই, বুদ্ধবাবুরা বরং পশ্চিমবঙ্গে কোনও শিল্প গড়ে তোলা, তার বন্দোবস্ত, একের পর এক কেমিক্যাল হাব, আইটি ইন্ডাস্ট্রিজ, অটো হাব ইত্যাদি নানা ধরণের শিল্প এনেছিলেন। যার ফল এখনও পশ্চিমবঙ্গবাসী ভোগ করছেন।"
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন