নাম ঘোষণার সময় এক তৃণমূল প্রার্থী দেরি করে দলীয় কার্যালয়ে আসেন। আর তাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুধু তাই নয়, ওই তৃণমূল প্রার্থীকে অশালীন ভাষায় ধমক দিতেও দেখা যায় তাঁকে। অপ্রীতিকর ওই ঘটনাটি ঘটে বোলপুর পুরসভায়।
ঘটনা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দলীয় কার্যালয়ে প্রার্থী ঘোষণার সময় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাজেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও অস্বস্তিতে পড়ে যান।
জানা গিয়েছে, শনিবার বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে আগামী পুরভোটের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করছিলেন অনুব্রত। বোলপুর, রামপুরহাট, সিউড়ি, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া পুরসভার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা পুরসভার প্রার্থীদের নামো ঘোষণা করেন তিনি।
বোলপুর পুরসভার প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সময় সেখানকার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শিবনাথ রায় আসতে দেরি করেন। তাতেই মেজাজ হারান অনুব্রত। সাংবাদিকদের সামনেই অশালীন ভাষায় ওই প্রার্থীকে ধমক দিতেও দেখা গেল তাঁকে। এদিন এক-একটি পুরসভার জন্য দলীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
পরে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় আমরা জিতব। বিরোধীরা সব জায়গায় প্রার্থী দিক, ভোট হোক, এটাই তো আমি চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটাই ইস্যু উন্নয়ন। বিধায়ক, সাংসদ, নেতারাই ভোট করাবেন। আজ ঘোষণা করে দিলাম।' একই সঙ্গে বলেন, 'ভালো খেলা হবে। খেলায় যা যা থাকে সবই থাকবে।'
প্রসঙ্গত, বীরভূমের ইলামবাজারের এক বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তারপর হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রক্ষাকবচ মেলে যে, তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রাখতে সিবিআইকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।