

আগামী এক এপ্রিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু এই ভোটের আগেই সেখানকার দাপুটে তৃণমূল নেতা আবু তাহের ঘরছাড়া। এরপরেও তিনি নিজের পরিবারের ওপর হামলার আশঙ্কা করছেন। ১৪ বছরের পুরনো মামলায় নতুন করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন আবু তাহের। ছত্রধর মাহাতোকে এনআইএ গ্রেফতার করায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে তাহেরের।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক শেখ সুফিয়ান (মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট), আবু তাহেরদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন সংক্রান্ত ১৪ বছরের পুরনো এফআইআরের ভিত্তিতে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। যদিও শেখ সুফিয়ান শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। তার ভিত্তিতে আপাতত এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। কিন্তু আবু তাহেরের ছাড় মেলেনি৷
২৭ তারিখ জঙ্গলমহলে ভোট মিটে যাবার পর শনিবার গভীর রাতে জঙ্গলমহলের আর এক তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোকে এনআইএ গ্রেফতার করে৷ আতঙ্কিত আবুর অভিযোগ, তিনি বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও পরপর চারদিন তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ তাই বাধ্য হয়ে তিনি এখন গা ঢাকা দিয়ে আছেন৷
গা ঢাকা দিয়ে থাকা অবস্থাতেই সংবাদমাধ্যমকে তিনি ফোনে জানান - 'আমি বাড়িতে নেই, তাও পরপর চারদিন রাতে পুলিশ এবং সিআরপিএফ বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে৷ আমার পরিবার ওখানে রয়েছে৷' তাঁর বাড়িতে সমাজবিরোধীরা কেউ হামলা চালাতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা।
তবে বাইরে থাকলেও ভোট প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক নেই। নন্দীগ্রামের যুদ্ধ জয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভরসা আবুর নির্দেশ অনুযায়ী অনুগামীরা ভোটের প্রস্তুতি সারছেন বলে দাবি করলেন।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কোনও সমাজবিরোধী তাঁদের দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। পুরনো মামলার জেরেই এখন গা ঢাকা দিতে হচ্ছে আবু তাহেরকে৷
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন