

কসবায় ভুয়ো ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের জন্য কোনও ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা যায় না। বিজেপি যতই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাক, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রণব-পুত্র লেখেন, ‘আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেব আয়োজিত ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প নিয়ে যদি দিদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়, তাহলে মোদিজিকেও নীরব মোদি, মেহুল চোকসি ও বিজয় মালিয়ার সঙ্গে যুক্ত দুর্নীতিকাণ্ডে দোষারোপ করা যেতে পারে। সুতরাং একজন ব্যক্তির কাজের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দিকে আঙুল তোলা যায় না।’
অভিজিৎ এখনও কংগ্রেসেই আছেন। যদিও কিছুদিন আগে তাঁর দলবদল নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল। তবে তিনি তা নাকচ করে দেন। এই প্রেক্ষাপটে প্রণব পুত্রের এহেন মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। ধৃত দেবাঞ্জনের সঙ্গে কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছবি সামনে আসতেই আসরে নেমেছে বিজেপির দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েটরা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের গ্রেফতার ও সরকারের কাছে ভ্যাকসিনের সংখ্যা জানিয়ে শ্বেতপত্র দেওয়ার দাবিও জানান।
এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, 'জনপ্রতিনিধিদের আশপাশে থাকা লোকের সঙ্গে ছবি থাকলেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকবে এমন কোন কথা নেই। কোন মানুষ কি ধরনের, কে বা কারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তা দেখার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। জনগণের স্বার্থে কাজ করি আমরা, কখনোই পুলিশের কাজ করতে পারি না। আইন আইনের পথে চলবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন