

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে গোটা রাজ্যজুড়েই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। নির্বাচনের ফলাফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে সংযুক্ত মোর্চা। বাম ও কংগ্রেস স্বাধীনতার পরে এই প্রথম কোনো প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে না বিধানসভায়। সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে একমাত্র জয়ী আই এস এফ প্রার্থী নওসাদ সিদ্দিকী। ফলাফল ঘোষণার পর এই প্রথম মুখ খুললেন আই এস এফ-এর পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকী। এক বিবৃতিতে তিনি মুখমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ফলাফল পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন।
আমি বাংলার গণতান্ত্রিক সকল মানুষকে ধন্যবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে। মানুষের সমর্থনে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্য সরকার পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন,আমরা গণতন্ত্রের রায়কে সন্মান ও শ্রদ্ধা করি। রাজ্যের যে সব মানুষ আই এস এফ সহ সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ। আই এস এফ প্রার্থী নওসাদ সিদ্দিকীকে নির্বাচিত করার জন্য ভাঙ্গড়বাসীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আগামী দিনে নওসাদ সিদ্দিকী আপনাদের মনের আশা পূরণ করার সর্বত্র প্রচেষ্টা চালাবেন। এই সঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি ফলাফল পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে সেই বিষয়ে। ভাংচুর থেকে শুরু করে মারধোর এবং খুনখারাপি। ইতিমধ্যে শাসকদলের আক্রমণে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বিধানসভার অধীন কদম্বগাছির উলাগ্রামে ISF কর্মী হাসানুজ্জামান নৃশংসভাবে খুন হয়েছে, ভাঙ্গড় বিধানসভার অধীন নারায়ণপুর অঞ্চলের গাজী আব্দুল হাকিম মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। রাজ্যের মানুষ যখন করোনার প্রকোপে এক চরম বিপদের মধ্যে রয়েছে।চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ঠিকমতো ভর্তি হতে পারছেনা, মুমূর্ষু রোগীরা অক্সিজেন পাচ্ছে না, কোথাও মৃতদেহ সৎকার করতে পারছেনা আর ভ্যাক্সিনের জন্য হাহাকার করছে, সেখানে রাজ্যব্যাপী যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জার বিষয়। তাই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সহ প্রশাসন আধিকারিকদের বিষয়টির উপর নজর দেওয়া এবং সন্ত্রাসমুক্ত শান্তির পরিবেশ গড়তে আহ্বান জানাচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষ এই Pandemic Situation-এ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আমার ধারণা। আমি সবপক্ষকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী, প্রধান পৃষ্ঠপোষক, আইএসএফ
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন