Saline Case: স্যালাইনকাণ্ডে এবার মৃত্যু এক সদ্যোজাতর! ডাক্তারদেরই কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

People's Reporter: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "যাঁদের কাছে মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়, যাঁদের হাতে সন্তান জন্মায়, তাঁরা দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করলে মাকে এবং সন্তানকে বাঁচানো যেত।’’
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি ছবি - সংগৃহীত
Published on

স্যালাইনকাণ্ডে এবার মৃত্যু সদ্যোজাত এক শিশুর। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগে মারা যায় ওই সদ্যোজাত। তাঁর মা রেখা সাউ বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সন্তানের মৃত্যুর খবর এখনও জানানো হয়নি রেখাকে।

গত ৮ জানুয়ারি জন্মের পর থেকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল ওই সদ্যোজাতকে। জন্মের পর সন্তানের মুখ দেখতে পাননি বাবা সন্তোষ সাউ এবং মা রেখা। ঠাকুমা পুষ্পা সাউ জানিয়েছেন, জন্মের পর একবার দেখতে দেওয়া হয়েছিল তাকে। তারপর থেকে দেখেনি তারা। কাচের ঘরে রাখা হয়েছিল সদ্যোজাতকে। ঠাকুমা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে।

গত বুধবার সিজারের পর পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে। সন্তান জন্মের পর তাঁদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, প্রসূতিদের ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন এবং ‘অক্সিটোসিন’ নামে এক ধরনে ওষুধ দেওয়া হয়। তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। প্রসূতিদের নিম্নমানের স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এই ঘটনায় শুক্রবার মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মেদিনীপুর হাসপাতালেই মৃত্যু হয়। বাকি মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তর করা হয়। তবে রেখার চিকিৎসা চলছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেই। হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে তিনদিন চিকিৎসার পর এখন অনেকটাই সুস্থ রেখা বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।

অন্যদিকে, স্যালাইনকাণ্ডে মৃত প্রসূতি মামনি রুইদাসের সন্তান বিপদমুক্ত। বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সদ্যোজাতকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।    

বৃহস্পতিবার স্যালাইকাণ্ডে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় চিকিৎসকদেরই কাঠগড়ায় তুুলেছেন তিনি। নবান্নে তিনি জানান, "যাঁদের কাছে মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়, যাঁদের হাতে সন্তান জন্মায়, তাঁরা দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করলে মাকে এবং সন্তানকে বাঁচানো যেত।’’

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in