

হলদিয়া তেল শোধনাগারের (Haldia Petrochem IOC) একটি টাওয়ারে বিধ্বংসী আগুন। ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আরও ৪৪ জন। প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। বাকিদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টা নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বহু কর্মী ওই সময় টাওয়ারে কাজ করছিলেন। মুম্বাইয়ের একটি সংস্থা টাওয়ারে শাটডাউনের কাজ করছিল। মক ড্রিলের পর ফের কাজ শুরু হতেই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী এক শ্রমিকের কথায়, ওয়েল্ডিংয়ের আগুন ছিটকে টাওয়ারে আগুন লাগে। জায়গাটিতে অতিদাহ্য পদার্থ থাকায় মুহূর্তে বিধ্বংসী চেহারা নেয় আগুন।
আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশাল দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। জখমদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের গ্রিন করিডর করে তৎক্ষণাৎ কলকাতায় আনা হয়। ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। জানা গেছে হতাহতদের বেশিরভাগেরই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে এখানে এসেছিলেন।
হলদিয়া তৈল শোধনাগারের তরফ থেকেও একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে দুর্ঘটনা সেকথা জানানো হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন