
কেন্দ্রের বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ডাকা ভারত বনধে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। শহর থেকে শুরু করে জেলার রাস্তাঘাট অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই ফাঁকা। গত ১৩ দিন চলা কৃষকদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধে সাড়া দিয়েছে বাংলার মানুষ। বনধকে সমর্থন জানিয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে বাম কর্মী, সমর্থকরা। বনধের সমর্থনে পথে নেমেছে কংগ্রেসের কর্মীরাও।
এক নজরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বনধ্ চিত্র:
১) সকালেই বনধের সমর্থনে যশোর রোডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আদানি ও আম্বানীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। যশোর রোডের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা।
২) সাড়ে আটটার দিকে যাদবপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বাম কর্মীরা। ৯.১০ মিনিট নাগাদ অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।
৩) লাঙ্গল নিয়ে হাওড়ার ডোমজুড়ে রেল অবরোধ করেন বাম কর্মীরা। অবরোধের জেরে প্রায় আধঘন্টা আটকে ছিল ডাউন আমতা লোকাল। এরপর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
৪) মধ্যমগ্রাম স্টেশনেও রেল অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। আপ-ডাউন উভয় ট্রেনই আটকে যায়। অবরোধের কারণে শিয়ালদহ-বনগাঁ, শিয়ালদহ-হাসনাবাদ লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত। শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার শাখাতেও রেল অবরোধ করা হয়েছে।
৫) হুগলির রিষড়া স্টেশনেও অবরোধ হয়েছে। যদিও ১০ মিনিট পরে তা তুলে নেওয়া হয়।
৬) ভারত বনধের সমর্থনে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বাম কর্মীরা।
৭) হাওড়ার দাশনগরে লাঙ্গল নিয়ে রেল অবরোধ করা হয়। বালি ও সলপে পথ অবরোধ করা হয়।
৮) বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও ভারত বনধের প্রভাব পড়েছে। জেলার রাস্তাগুলোতে নেই বেসরকারি বাস।
৯) উত্তরবঙ্গেও ভারত বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকরা কৃষকদের ডাকা এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে।
১০) আলিপুরদুয়ারে সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। বেসরকারি বাস একেবারেই বন্ধ।
১১) সকল ১১টায় ভারত বনধের সমর্থনে এন্টালি মার্কেট থেকে মিছিল করবে ১৬টি বামপন্থী ও সহযোগী দল। উপস্থিত থাকবেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের নেতারাও উপস্থিত থাকবেন মিছিলে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন