সোশ্যাল মিডিয়ায় দলীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি অনুপম হাজরার

অনুপম হাজরা
অনুপম হাজরা ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। কিন্তু তা আদৌ কতটা সম্ভব বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খাঁ- গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে খবরের শিরোনামে প্রায়ই এই নামগুলো উঠে আসে। পুজোর সময়ও তার বিরাম নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের নেতাদের হুঁশিয়ারি দিলেন অনুপম হাজরা। বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদের এই হুঁশিয়ারি বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বকেই সিলমোহর দিল।

হুঁশিয়ারি দিয়ে অনুপম হাজরা বলেছেন, এই ধরণের অন্তর্দ্বন্দ্ব চললে বাংলা দখলের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। বাংলায় ক্ষমতায় আসা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। নবমীর দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, দলের অনেকেই বিজেপি ক্ষমতায় আসছে ধরে নিয়ে ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী’ হয়ে গিয়েছেন। আর এতেই দলের অভ্যন্তরে অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়ছে। যা দলের তৃণমূল স্তরের নেতাদের মনোবলে আঘাত হানছে।

দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিন। এর ফলে সব নেতা কর্মী বা সমর্থকরা লড়াই করার মনোবল পাবেন। বুথস্তরের কার্যকর্তাদের দলের সৈনিক হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।

বিগত লোকসভা ভোটে বাংলায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। তারপর থেকেই আরও ভালো ফল করার চেষ্টায় রয়েছে পদ্ম শিবির। কিন্তু তাতে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। সপ্তমীর দিন সৌমিত্র খাঁ ঘোষিত ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সব জেলা কমিটি বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জেলা সভাপতাদেরও পদ থেকে সরিয়ে দেন তিনি। এরপর অষ্টমীর দিন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে সংগঠনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান সৌমিত্র খাঁ। অবশ্য তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের গ্রুপে যুক্ত হন তিনি। লেখেন, ‘তোমাদেরকে ছেড়ে থাকা সম্ভব নয়। তাই আবার ফিরে এলাম।তৃণমূলকে হঠানোর জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে রাজি আছি।'

বিজেপির যুব মোর্চার কমিটি ঘিরে এই সংঘাত রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরে। তবে, বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরের এই দ্বন্দ্বের মাঝেই অনুপম হাজরার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ঘৃতাহুতি দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in