
শুক্রবার সকালে প্রকাশিত হল ২০২৫ –এর মাধ্যমিকের ফলাফল। পরীক্ষার ৬৯ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন। চলতি বছর প্রথম দশে রয়েছে মোট ৬৬ জন পরীক্ষার্থী। এবছর পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। গত বছর পাশের হার ছিল ৮৬.৩১ শতাংশ। তবে চলতি বছর ১ লক্ষ ২২ হাজার ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পাশ করতে পারেননি।
পাশের হারে জেলার নিরিখে প্রথমে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় পাশের হার ৯৬.৪৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং (৯৬.০৯ শতাংশ)। পাশের হারে তৃতীয় স্থানে কলকাতা (৯২.৩০ শতাংশ)। চতুর্থ স্থানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা (৯০.৫২ শতাংশ)।
চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় ১০ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন। এর মধ্যে রেগুলার পরীক্ষার্থী ৯ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। এ বছর মাধ্যমিকে ছিল গ্রেড ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ গ্রেড ‘এএ’ পেয়েছেন ১০,৬৫৯ জন। ‘এ+’ গ্রেড পেয়েছেন ২৫,৮২০ জন এবং গ্রেড ‘এ’ পেয়েছেন ৯১,২৩৭ জন।
২০২৫–এর প্রথম দশের মেধাতালিকা সবিস্তারে –
প্রথম স্থানঃ উত্তর দিনাজপুরের আদৃত সরকার প্রথম হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ (৯৯.৪৬%)। রায়গঞ্জ করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া তিনি।
দ্বিতীয় স্থানঃ যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন অনুভব বিশ্বাস এবং সৌম্য পাল। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। অনুভব মালদার রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়া এবং সৌম্য বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের।
তৃতীয় স্থানঃ মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানে বাঁকুড়ার ঈশানী চক্রবর্তী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩।
চতুর্থ স্থানঃ এ বছর মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছে দু’জন। পূর্ব বর্ধমানের মহম্মদ সেলিম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতীক মান্না। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২।
পঞ্চম স্থানঃ চলতি বছর পঞ্চম হয়েছেন চার জন। তাঁদের মধ্যে তিনজন হুগলির বাসিন্দা। তাঁরা হলেন - সিঞ্চন নন্দী, মহম্মদ আসিফ এবং দীপ্তজিৎ ঘোষ। এছাড়া সোমতীর্থ করণ দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসিন্দা। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।
ষষ্ঠ স্থানঃ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাঁচজন। অঞ্চ দে (ফালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়), জ্যোতিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (বিবেকানদন শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়), রুদ্রনীল মাসন্ত (গোরাসোলে মুরলীধর হাই স্কুল, বাঁকুড়া), অঙ্কন মণ্ডল (টাকি রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুল), অভ্রদীপ মণ্ডল (সারদা বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়)। এদের সকলের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।
সপ্তম স্থানঃ চলতি বছর মাধ্যমিকে সপ্তম হয়েছে পাঁচজন পরীক্ষার্থী - দেবার্ঘ্য দাস (ফালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়), অঙ্কন বসাক (গঙ্গারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়), অরিত্রা দে (বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়), দেবাদ্রিতা চক্রবর্তী (বাঁকুড়া মিশন গালর্স হাইস্কুল), সৌরীন রায় (অমরগড় উচ্চ বিদ্যালয়)। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।
অষ্টম স্থানঃ মাধ্যমিকে সপ্তম হয়েছে ১৬ জন - অনির্বাণ দেবনাথ, সত্যম সাহা, আসিফ মেহবুব, মোঃ ইনজামাম উল হক, সৃজন প্রামাণিক, অরিত্র সাহা, শুভ্রা সিংহ মহাপাত্র, অরিজিৎ মণ্ডল, স্পন্দন মৌলিক, শ্রীজয়ী ঘোষ, পাপড়ি মণ্ডল, সৌপ্তিক মুখোপাধ্যায়, উদিতা রায়, অরিত্র সাঁতরা, পুষ্পক রত্নম, অবন্তিকা রায়। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।
নবম স্থানঃ নবম হয়েছে ১৪ জন - দেবাঙ্কন দাস, মৃন্ময় বসাক, অনীক সরকার, অরিত্রী মণ্ডল, দিশা ঘোষ, ময়ূখ বসু, পরমব্রত মণ্ডল, অয়ান নাগ, অঙ্কুশ জানা, দ্যুতিময় মণ্ডল, ঐশিক জানা, প্রোজ্জ্বল দাস, অনীশ দাস, তানাজ সুলতানা। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭।
দশম স্থানঃ চলতি বছর মাধ্যমিকে দশম হয়েছে ১৬ জন। কৌস্তভ সরকার, আমিনা বানু, উবে সাদা্ফ, প্রিয়ম পাল, তুহিন হালদা, দেবায়ন ঘোষ, এসকে আরিফ মণ্ডল, সম্যক দাস, স্বাগত সরকার, অয়ন্তিকা সামন্ত, সমন্বয় দাস, বিশ্রুত সামন্ত, সায়ন বেজ, সোহম সাঁতরা, শৌভিক দিন্দা, রাহুল রিক্তিরাজ। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন