

গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে গোটা দেশজুড়ে অক্সিজেনের অভাব এবং তার জেরে মানুষের প্রাণহানির কথা। করোনা আক্রান্ত হয়ে অনেকেরই অক্সিজেন সাচুরেশনের মাত্রা কমে যাচ্ছে অনেকটাই। সেক্ষত্রে তাঁদের দ্রুত অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। নয়ত ওই রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। এই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতেই অক্সিজেনের আকাল দেখা দেয়। অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়লে কিভাবে তার ব্যবস্থা করা হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আক্রান্ত পরিবার-সহ আমজনতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই সাহায্য পেয়েছেন।
এই অক্সিজেন সংকটের মধ্যেই বৃহস্পতিবার চিন থেকে বিমানে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছল ৪৩০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে হাত লাগালেন কাস্টমস ও বিমানবন্দরের কর্মীরা। সূত্রের খবর, চিন থেকে প্রায় দু’হাজার কনসেনট্রেটর কিনেছে ভারত। কাস্টমস আধিকারিক সুজিত চক্রবর্তী বলেন, কনসেনট্রেটর বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করে। গত সপ্তাহেও এসেছিল। এদিনের কনসেনট্রেটরগুলো আইটিসি এবং বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনকে পাঠানো হচ্ছে। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নিজেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অক্সিজেন তৈরি করতে পারে।
চিকিৎসকরা মনে করছেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দুর্ভোগ কমালেও তা ব্যবহার করতে হবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো। চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কার্যকর হতে পারে। হোম আইসোলেশনে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাও ব্যবহার করে সাময়িক উপকার পেতে পারেন। তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে ব্যবহার করতে হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন