
'মিথ্যা' মামলায় দীর্ঘ নয় বছর পর জামিন পেলেন অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সিপিআইএম নেতা অনুজ পান্ডে সহ তিন জন। এর আগে এই মামলায় মুক্তি পেয়েছেন সাতজন সিপিআইএম নেতা কর্মীরা।
২০১১ সালে নেতাই গণহত্যা মামলায় দুই নাবালক সহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সিপিআইএম-র পক্ষ থেকে সেই সময়ই দাবি করা হয়েছিল সকলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে রাজ্য সরকার কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি জামিনে মুক্তি দেন অনুজ পান্ডে, ডালিম পান্ডে এবং তপন দেকে।
বর্তমানে অনুজ পান্ডে সিপিআইএম ঝাড়গ্রাম জেলা কমটির সদস্য। ডালিম পান্ডে এবং তপন দে হলেন লালগড়ের সিপিআইএম নেতা। ২০১৪ সালে এই তিন নেতা সহ আরও মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আগেই মুক্তি পেয়েছিলেন ফুল্লরা মণ্ডল, অশ্বিনী চালক, গন্ডিবন রায়, পিন্টু রায়, লব দুলে, রূপচাঁদ আহির এবং চণ্ডি করণ। সেই সময় জঙ্গলমহলের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। যিনি ওই সময় মমতা ব্যানার্জি ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। একাধিকবার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল তৃণমূল দলনেত্রীর প্রশংসা।
পশ্চিম মেদিনীপুর সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, যাঁরা খুন হয়েছিলেন তাঁদের পরিবার বিচার পায়নি। এদিকে যাঁরা সুপারি দিয়ে খুন করিয়েছিল তারা ক্ষমতায় বসে রয়েছে। রাজ্য সরকার এতটাই ভয় পেয়েছে যে প্যারোলেও মুক্তি দিতে চায়নি। ওই সময় মাওবাদীরা আমাদের অনেক কর্মীদের খুন করেছিল, যারা এখন সবাই তৃণমূলের নেতা। যাঁরা এখনও জেলে আছেন তাঁরাও মুক্তি পাবেন। একসাথে লড়াইয়ের ময়দানে নামব।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী উদয় শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ঘটনায় অভিযুক্তদের অংশগ্রহণের কোনো প্রমাণ নেই। বিচারাধীন মামলায় আট বছরের উপর জেলবন্দী রয়েছেন। বিচার প্রক্রিয়াও বেশি এগোয়নি। তাই জামিন মঞ্জুর হয়েছে।"
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "একদিন প্রমাণিত হবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল এঁদের প্রত্যেককে।"
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন