ডুমুরজলার সভায় ভুল জাতীয় সঙ্গীত, বিজেপিকে ট্যুইট আক্রমণ অভিষেকের

ডুমুরজলায় বিজেপি জনসভা
ডুমুরজলায় বিজেপি জনসভাবিজেপি পশ্চিমবঙ্গ ফেসবুক পেজ-এর সৌজন্যে
Published on

হাওড়ার ডুমুরজলার সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইবার অভিযোগ উঠলো। যা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে বিজেপি। ওই সময় মঞ্চে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী সহ বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইবার অভিযোগ তুলে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে "দেশবিরোধী কার্যকলাপের" হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

গত কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে ছিল ডুমুরজলা সভা। অমিত শাহের উপস্থিতিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল এই মঞ্চে। কিন্তু দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অমিত শাহের বঙ্গ সফর বাতিল হয়ে যায়। পরিবর্তে বাংলায় আসেন আসেন স্মৃতি ইরানী এবং শনিবার দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের সাথে সাক্ষাৎ করে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রুদ্রনীল ঘোষরা।

এদিন ডুমুরজলার সভাতেও উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। এই সভাতেও তৃণমূলের বহু নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, একসাথে শাসকদলের এতজন নেতানেত্রীর গেরুয়া শিবিরে যোগদান এযাবতকালে দেখেনি বাংলা। সব মিলিয়ে সরগরম থাকা সেই সভার শেষে ভুল জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিড়ম্বনায় বিজেপি নেতৃত্ব।

জাতীয় সঙ্গীতের যে অংশটি ভুল গাওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র সেই অংশটি বারবার দেখিয়ে ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও নিজের ট‍্যুইটারে পোস্ট করেছেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। ভিডিওর সাথে বিজেপিকে আক্রমণ করে ট‍্যুইটারে তিনি লেখেন, "যাঁরা দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ নিয়ে বড়বড় কথা বলেন, তাঁরা আমাদের জাতীয় সঙ্গীতও ঠিক করে গাইতে পারেন না। এই দলটাই আবার দাবি করে তারা ভারতের গর্ব এবং সম্মান রক্ষা করবে! লজ্জাজনক! এই 'দেশবিরোধী কার্যকলাপের' জন্য নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং বিজেপি কি ক্ষমা চাইবেন?"

এই বিষয়ে বিজেপির যুক্তি, নেত্রা-নেত্রীরা ভুল গাননি। মঞ্চে আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ভুল গেয়েছেন, যা মাইকে শোনা গেছে।

প্রসঙ্গত, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন উল্টোভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in