কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টফাইল ছবি সংগৃহীত

Bhawanipur: বিজ্ঞপ্তি জারির এতদিন পরে মামলা কেন? উপনির্বাচনের শুনানিতে মন্তব্য হাইকোর্টের

রাজ‍্যে ৫টি কেন্দ্রে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু রাজ‍্যের মুখ‍্যসচিব কেবল ভবানীপুরে দ্রুত উপনির্বাচনের দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি লেখেন। এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন সায়ন ব্যানার্জি।
Published on

'বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার এতোদিন পরে কেন মামলা দায়ের করলেন?' ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় মামলাকারীকে এই প্রশ্ন করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। আগামী ২০ তারিখ ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে।

রাজ‍্যে মোট পাঁচটি কেন্দ্রে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু রাজ‍্যের মুখ‍্যসচিব কেবল ভবানীপুরে দ্রুত উপনির্বাচনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখেন। এই চিঠি দেওয়ার পরই ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে কমিশন। মুখ‍্যসচিবের এই এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ এই মামলার শুনানিতে আদালতে মামলাকারীর হয়ে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সব‍্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তিনি আদালতে প্রশ্ন করেন, "মুখ‍্যসচিব শুধু একটা চিঠি লিখেছিলেন কমিশনকে। কেন কোনো রাজ‍্যের মুখ‍্যসচিব একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের জন্য ভোটের দাবি জানালেন? কেন শুধুমাত্র তাঁর চিঠির ভিত্তিতে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলো?"

বিচারপতি বিন্দাল বলেন, নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির এত পরে কেন মামলা দায়ের করেছেন? আগে কেন আদালতে আসেননি?

এছাড়াও এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আর এক আইনজীবী রামপ্রসাদ সরকার। এই মামলার আবেদনই খারিজ করে দেয় আদালত। মামলকারীকে ছ'মাস পরে আদালতে আসতে বলেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী শপথ নেওয়ার ছ'মাসের মধ্যে যেকোনো একটি কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে জয়ী হতে হবে তাঁকে। তাই তড়িঘড়ি ভবানীপুরের উপনির্বাচন করা হচ্ছে। এখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিপক্ষে রয়েছে সিপিআইএমের শ্রীজীব বিশ্বাস এবং বিজেপির প্রিয়ঙ্কা টিবেরিয়াল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in