“তৃণমূল যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে পারে, তাহলে আমি অহেতুক তৃণমূলের বিরোধিতা করব না“, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েই তৃণমূলের সাথে দলের সম্পর্ক নিয়ে এই মন্তব্য করলেন শুভঙ্কর সরকার।
শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে শুভঙ্কর সরকারের নাম ঘোষণা করেছে দলের হাইকমান্ড। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর জায়গায় তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রতি ‘নরমপন্থী’ হিসেবে পরিচিত শুভঙ্কর। তাঁর প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে তৃণমূলের সাথে কংগ্রেসের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন তৃণমূলের বিরোধিতায় চরমপন্থী মনোভাব নিয়েছিলেন। রবিবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান।
'তৃণমূলের সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন হবে? আপনি কি সত্যিই তৃণমূলের প্রতি নরম?' এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের নতুন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “কট্টর-নরম জানি না। মানুষের চাহিদাই আমার কাছে প্রাধান্য পাবে। মানুষ যা চাইছেন, সেদিকেই আমাদের দলকে চালিত করতে হবে। তৃণমূল আমার কাছে একটি রাজনৈতিক দল। তারা যদি সঠিক ভাবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে পারে, তাহলে আমি অহেতুক তৃণমূলের বিরোধিতা করব না।“
তিনি আরও বলেন, “কাল যদি কোনও কারখানা গড়ে ওঠে, বাংলার শিল্পের উন্নয়ন ঘটে, আমি নিশ্চিত ভাবে সরকারকে সমর্থন করব। কিন্তু সেই শিল্প তৈরি করতে গিয়ে তৃণমূলের লোকেরা যদি চাঁদা তোলেন, তার বিরোধিতা করব। আমার দলের কথা নিশ্চিত ভাবে বলব। আমাকে সভাপতি করা হয়েছে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে।‘’
তাঁর কথায়, কাল যদি বাংলায় নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়, যেখানে নাগরিক সমাজ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এই নাগরিক সমাজের বাইরে গিয়ে তাঁর কিছু কথা বলার থাকবে না। নাগরিক সমাজের সঙ্গেই যেতে হবে তাঁকে।
তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার পথ খোলা রাখবেন কিনা সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে শুভঙ্কর বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। আমরা সর্বভারতীয় দল। দল যদি চায়, আমার উপর নির্দেশ আসবে। আমাদের কর্মীরা কী চায় সেটাও দেখতে হবে। এখনও পর্যন্ত বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচনে লড়াই করেছিলাম। বামেরা আমাদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক, আবার তৃণমূলও আমাদের শরিক।“