

বুধবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপির তরফ থেকে এই ঘোষণার কিছু সময়ের মধ্যেই নবান্নের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই বনধ মানা হবে না। সরকারি কর্মচারিদের দফতরে নিয়মমাফিক হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোকানপাট খোলা রাখতে বলা হয়েছে। যানবাহন চালু রাখতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ছাত্র সমাজের উপর পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে বুধবার সারা রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ পালন করা হবে।
এর কিছু সময় পরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “তদন্ত চাওয়ার এবং সুবিচার চাওয়ার দায়িত্ব ও অধিকার আমাদের সকলেরই আছে। কিন্তু আজ মহানগরকে এবং তার পর কাল বাংলাকে স্তব্ধ করার যে প্রয়াস হল এবং হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অসমর্থনীয়। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা, পরীক্ষা আছে এবং চলছে। শারদোৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ী, কর্মজীবী, পেশাজীবী, বৃত্তিজীবী বৃহৎ সংখ্যক মানুষের ভবিষ্যৎ এতে বিপন্ন হচ্ছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-সহ সমস্ত আপৎকালীন পরিষেবা বিপন্ন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানাচ্ছে আগামী কালের প্রস্তাবিত বনধকে মেনে নেওয়া হবে না। সকলের কাছে অনুরোধ এই বনধে অংশ নেবেন না।’’
সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সরকারের বিশেষ নির্দেশ ঘোষণা করে আলাপন বলেন, “অফিস কাছারিতে অবশ্যই স্বাভাবিক ভাবে আসবেন। দফতরে নিয়মমাফিক হাজিরা দেবেন।“ আলাপন আরও বলেন, “মহারাষ্ট্র হাই কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের কথা অনেকেই জানেন। সাধারণ ভাবে, এই ধরনের অচলাবস্থা জোর করে সৃষ্টির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের নানা নির্দেশ আছে। বনধ তথা আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রাকে সহসা জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে বিচারবিভাগের নির্দেশ মান্য। তাই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত বুধবার স্বাভাবিক জনজীবন চালু রাখা হবে।“
এছাড়া রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থাগুলিকেও বুধবার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে নবান্নের তরফে। রাজ্যের মানুষের কাছে সরকারের আবেদন, ‘‘তাঁরা যেন স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন।’’ রাজ্য জানিয়েছে, এর জন্য কোনও রকম ক্ষতি যদি হয়, তবে সেই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেবে খোদ সরকার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন