
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতারা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। সবারই একই বক্তব্য ছিল, দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না। অনেকে বলেছিলেন, তাঁদের দমবন্ধ লাগছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল। অনেকে আবার সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছিলেন।
এই দলবদলু বিজেপি নেতাদের হাতেগোনা কয়েকজনই জয়ী হয়েছেন। অধিকাংশই হারের মুখ দেখেছেন বিপুল ভোটে। কিন্তু তাঁদের প্রতি কোনও ক্ষোভ রাখেননি দলনেত্রী। উল্টে তিনি জানিয়েছেন, কেউ ফিরতে চাইলে স্বাগত।
গত বছরের শেষে ডিসেম্বরে তৃণমূল ছাড়েন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অবশ্য ভোট গণনার দিন দিনভর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন। কিন্তু বাকিরা কেউ বিশেষ ছাপ রাখতে পারেননি।
নিজেরই কেন্দ্র ডোমজুড় থেকে পরাজিত হন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁর দলত্যাগকে ভালোভাবে নেননি আমজনতা। তিনি অবশ্য সাফাই গেয়েছেন মানুষের রায় মাথা পেতে নিয়েছেন বলে।
একইভাবে জয়ের মুকুট পাননি বৈশালী ডালমিয়া, রুদ্রনীল ঘোষ, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শীলভদ্র দত্ত, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সব্যসাচী দত্ত-সহ একাধিক দলবদলু নেতা। স্বাভাবিকভাবেই এই দলবদলুদের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে। তাঁরা কি এবার ঘাসফুল শিবিরে ফিরবেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি তাদের আবার ফিরিয়ে নেবেন?
এঁরা ছাড়াও আরও বেশ কিছু তৃণমূল নেতা নেত্রী আছেন। যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েও প্রার্থী হতে পারেননি। যার মধে আছেন সোনালী গুহ, জটু লাহিড়ী, শীতল সর্দার প্রমুখ। এঁরা আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন কিনা এখনও জানা যায়নি। তবে সূত্র অনুসারে আবারও তৃণমূলে ফিরতে ইচ্ছুক শোভন-বৈশাখী।
সোমবার কালীঘাট থেকেই সাংবাদিকদের সাফ জানিয়েছেন মমতা, 'যাঁরা ফিরতে চান, ফিরুন না, কে বারণ করেছে, ওয়েলকাম।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন