কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবো আমরা। এর শেষ দেখে ছাড়বো। এই লড়াই জিততেই হবে। আন্দোলনরত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে গিয়ে তাঁদের সহমর্মিতা জানিয়ে একথা বললেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নিচে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভে শামিল রয়েছেন এসএসসি উত্তীর্ণরা। বুধবার তাঁদের সাথে দেখা করেন মহম্মদ সেলিম সহ বাম নেতৃবৃন্দ।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে সেলিম বলেন - চাকরির দাবিতে আইনি লড়াই চলবে। পাশাপাশি রাস্তার আন্দোলনকেও আরও তীব্র করে তুলতে হবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে লড়বো আমরা। শুধু কলকাতায় নয়, জেলায় জেলায় আন্দোলন করতে হবে। এই লড়াই জিততেই হবে আমাদের। এর শেষ দেখে ছাড়বো আমরা। আপনারাও এর শেষ দেখে ছাড়বেন।
শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়েছে। তাঁকে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশের উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে সেলিম বলেন - কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অথচ আদালত তাঁকেই স্বস্তি দিয়েছে। কিন্তু স্বস্তি তো সাধারণ মানুষের দরকার। নেতা-মন্ত্রীরা মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্যই কাজ করবেন, এটাই দস্তুর। কিন্তু এখানে দেখলাম উল্টে মন্ত্রীকে স্বস্তি দেওয়া হচ্ছে। মানে মন্ত্রী এমন কাজ করেছেন যে তাঁর স্বস্তির দরকার হয়ে পড়েছে। আমরা কিন্তু তাঁকে স্বস্তিতে থাকতে দেবো না। এসএসসির উপদেষ্টা, শিক্ষামন্ত্রী সব মিলিয়ে একটা চক্র তৈরি হয়েছে। SSKM-এর উডবার্ন ওয়ার্ড এই চোরদের বাঁচাচ্ছে। কিন্তু কেউ বাঁচাতে পারবে না।
বামফ্রন্ট সরকারের সাথে বর্তমান সরকারের তুলনায় করে তিনি বলেন, বামফ্রন্ট আমলে বছরের-পর-বছর নিয়োগ হয়েছে। এখন চাকরি বিক্রি হচ্ছে। কি করে বড় বড় বাড়ি-গাড়ি হচ্ছে একদল লোকের? কারণ এখন কেনাবেচার রাজনীতি হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের সব পরিস্থিতিতে লড়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন মহম্মদ সেলিম। ডিভিশন বেঞ্চ কেন বারবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ দিচ্ছে, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।