

আর জি কর কাণ্ডের আবহেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য পুজোর বোনাস বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এবার অবসরের সময়ে এককালীন টাকার অঙ্কও বৃদ্ধি করল সরকার। বুধবার নবান্নের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। এই ঘটনা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে সরকারকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা।
বুধবার নবান্নের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, এ বার থেকে সিভিক ভলেন্টিয়াররা অবসরের সময়ে এককালীন টাকা পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা। এর আগে তাঁরা পেতেন তিন লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, ৪০ শতাংশ অর্থ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরপরেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এ নিয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘সিভিক ভলান্টিয়ারেরা তো চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী। তা হলে সরকারের অন্য দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের জন্যও তো একই নিয়ম হওয়া উচিত। কিন্তু তা হচ্ছে না। আসলে মুখ্যমন্ত্রী একটা নীতিতে চলছেন। তা হল, তুমি আমায় দেখে দাও, আমি তোমায় পুষিয়ে দেব। এটা গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ভিতর থেকে ক্ষয়িষ্ণু করে দিচ্ছে।’’
অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, ‘‘আরজি করে বলির পাঁঠা করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তার ফলে রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারদের মনোবল ধাক্কা খেয়েছে। এই বাহিনীই তো তৃণমূলের হয়ে ভোট করায়। নেতাদের তোলাবাজিতে সঙ্গত করে। তাই তাদের মনোবল চাঙ্গা করতেই পর পর এই সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে নবান্ন।’’
উল্লেখ্য, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুজোর বোনাস নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। নবান্নের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, কলকাতার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুজোর বোনাস ৫ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে, জেলার ভলেন্টিয়ারদের বোনাস ২ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ৬ হাজার টাকা।
কলকাতা এবং জেলার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুজোর বোনাস নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা গোটা বিষয়টিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, কলকাতার সিভিক ভলান্টিয়ারেরা ৫ হাজার ৩০০ টাকা পান তাতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারেরা কেন বঞ্চিত হবেন? কেন তাঁদের কম অর্থ দেওয়া হবে? জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রতি রাজ্য সরকার বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, কলকাতার মতো রাজ্যের সমস্ত জেলার ভলেন্টিয়ারদের বোনাসের অঙ্কও সমান হবে। চলতি মাঝের মাঝামাঝি সময়ে বোনাস বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন