
১৪ জুলাই নির্বাচন করা হোক। এরকমই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষে। যদিও সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে।
প্রধান বিচারপতির ১৪ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট করানোর প্রস্তাবে পাল্টা যুক্তি দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের আইনজীবী আদালতে বলেন, নির্বাচনের দিন পিছিয়ে দেওয়া যায় না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মনোনয়নের জন্য ৭ দিনই সময় দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার সকাল থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শুনানি চলছে আদালতে। এদিন আদালতে মনোনয়নে সময় বাড়ানোর পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি। লাইভ ল-এর তথ্য অনুসারে, প্রধান বিচারপতি মনোনয়নের তারিখ এবং সময় বাড়ানোর পক্ষে জানিয়েছেন।
এদিন প্রধান বিচারপতি জানা ধারা ৪৩ অনুসারে নোটিফিকেশন দিয়ে সময় বাড়ানো যায়।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষমতার অধিকারী একটি স্বাধীন সংস্থা। স্বাধীন সংস্থা কোনো চাপের মুখে নত হতে পারে না। আমরা অনুভব করেছি যে প্রাথমিকভাবে মনোনয়নের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ভোটারদের কোনোভাবেই কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে হবে। মনোনয়ন দাখিল করা এমনই একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু ভোটারদের পুরো প্রক্রিয়ায় আস্থা থাকা উচিত।
এদিন বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশন জানায়, এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে এবং মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া চলছে। কমিশন আরও জানায় মনোনয়ন জমার সময়সীমা বিকেল ৩টে হলেও তখনও মনোনয়ন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইন থাকছে ততক্ষণ মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া চলছে।
কমিশনের এই বক্তব্যের উত্তরে প্রধান বিচারপতি জানান, তার মানে এটা স্পষ্ট যে মনোনয়ন জমার জন্য ৪ ঘণ্টা দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন