দু'গালেই কষে থাপ্পড় খেল রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন: 'সুপ্রিম' নির্দেশে কটাক্ষ সুজনের

সুজন চক্রবর্তী নিজের টুইটারে লেখেন, "এক গালে নয়, দু'গালেই কষে দুটো থাপ্পড় খেল রাজ্যের সরকার আর নির্বাচন কমিশন। এত কিছুর পরও নির্বাচন কমিশনার পদ আগলে বসে থাকেন কোন লজ্জায়!"
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যকে কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যকে কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর
Published on

"এক গালে নয়, দু'গালেই কষে দুটো থাপ্পড় খেল রাজ্যের সরকার আর নির্বাচন কমিশন।" পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই এই মন্তব্য করেছেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।

সুজন চক্রবর্তী নিজের টুইটারে লেখেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলো সুপ্রিম কোর্ট। এক গালে নয়, দু'গালেই কষে দুটো থাপ্পড় খেল রাজ্যের সরকার আর নির্বাচন কমিশন। এত কিছুর পরও নির্বাচন কমিশনার পদ আগলে বসে থাকেন কোন লজ্জায়!"

পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু শীর্ষ আদালত কলকাতা হাই কোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে নির্বাচন কমিশন। বিচারপতি নাগরত্ন বলেন, "নির্বাচন কমিশন হাই কোর্টের রায়কে অমান্য করতে পারে কিভাবে? আপনাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। আপনার বাহিনী প্রয়োজন, তা কোথা থেকে এল তাতে আপনাদের কী?"

তিনি বলেন, নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়, হিংসা কখনও নির্বাচনের সহযোগী হতে পারে না।

সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর বৈঠকে বসেছেন নির্বাচন কমিশন। কত কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন, কিভাবে এর জন্য আবেদন করা হবে, এই সব নিয়ে আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করছে কমিশন।

কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যকে কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর
সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা রাজ্যের, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট, হাইকোর্টের রায় বহাল শীর্ষ আদালতে

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in