
বিধানসভায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বক্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক তুঙ্গে। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যপাল ভুল তথ্য পাঠ করেছেন। আর রাজ্যপালকে এই ভুয়ো তথ্য প্রদান করেছে রাজ্য সরকার।
বুধবার বাজেট অধিবেশনের সূচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। নিয়ম অনুযায়ী এই বক্তব্য লিখে দেয় রাজ্য সরকার। বক্তব্যের সাথে একাধিক তথ্যও পেশ করা হয় রাজ্যপালের কাছে। কোথাও কোনো ভুল হলে সংশোধনের ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের। কারণ তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু তা করেননি নতুন রাজ্যপাল। বরং রাজ্যের দেওয়া ভুল তথ্যই সকলের সামনে পাঠ করলেন। বর্তমান রাজ্যপালের পাঠ করা তথ্যে গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর ভাষণে বলেন, রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা ২০১১ সালের ১১৭ থেকে কমে ২০২২-এ হয়েছে ১০৯। কিন্তু প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এর আগে পড়েছিলেন ২০১১ সালের ১১৩ থেকে কমে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা ২০২১ সালে হয়েছে ৯৮। এখানে প্রশ্ন উঠছে ২০১১ সালের তথ্য কীভাবে বদলে গেল রাজ্যের দেওয়া পরিসংখ্যানে?
আবার সিভি আনন্দ বোস পড়েন, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ফলে ২.৪১ কোটি পরিবার উপকৃত হয়েছে। কিন্ত জগদীপ ধনখড় পড়েছিলেন, ২.২ কোটির বেশি পরিবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের তালিকায় নথিভুক্ত রয়েছে। আর পরিষেবা পেয়েছেন ২৪.৮৫ লক্ষ মানুষ। বিরোধীরা প্রশ্ন করছে এক বছরে কি করে প্রায় ২৫ লাখ থেকে ২ কোটির বেশী মানুষ উপকৃত হল?
গতছর ধনখড় বলেছিলেন, রাজ্যে 'খাদ্যসাথী' প্রকল্পের আওতায় ১০ কোটি মানুষ রয়েছে। কিন্তু সিভি আনন্দ বোস পড়েন এই প্রকল্পের আওতায় ৯ কোটি মানুষ রয়েছে। অতিরিক্ত এক কোটি মানুষ কোথায় গেল? কোন তথ্য গোপন করতে চাইছে রাজ্য? পাশাপাশি রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দলগুলি।
শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে আদালতে মামলা চলা সত্বেও রাজ্যের শিক্ষার গুণগত মানের প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন তিনি।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন