গণ দলবদলে ক্ষোভ বাড়ছে পুরোনো কর্মীদের, আপাতত দলে যোগদানে রাশ টানার পথে রাজ্য বিজেপি
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের ১৮ জন বিধায়ক সাংসদকে দলে নিয়েছে বিজেপি। এছাড়াও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করাও। দলবদলের পালা অব্যাহত ছিল তার আগেও। যদিও এবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অন্য দলের নেতৃত্বের অবাধে বিজেপিতে ঢোকার দরজা বন্ধ হতে চলেছে। অন্তত গতকাল বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের কথায় সেইরকম ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে।
গত রবিবার তৃণমূল ছেড়ে পাঁচ বিধায়ক নেতা সহ এক অভিনেতার বিজেপিতে যোগদানের পরেও বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো আপাতত আর কাউকে বিজেপিতে নেওয়া হবেনা। যদিও তার পরেও গতকাল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদার।
এরপরেই বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন আপাতত আর কাউকে বিজেপিতে নেওয়া হবে না। তিনি আরও জানান আমরা কোনোভাবেই বিজেপিকে তৃণমূলের বি-টিম হিসেবে গড়ে তুলতে চাইনা। আমরা তৃণমূলের এরকম কোনো নেতাকে দলে নিতে চাইনা যার স্বচ্ছ ইমেজ নেই বা যিনি কোনো বেআইনি কাজ করে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। এরপর থেকে আর কোনো গণ দলবদল হবেনা। শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ কিছু বাছাই করা মানুষকেই বিজেপিতে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিজেপিতে তৃণমূল নেতাদের গণহারে যোগদান প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই একাধিকবার চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন বাম কংগ্রেস। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী পিপলস রিপোর্টারকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন – ‘রাজ্যে এখন বিজেপির সবথেকে ভালো সাপ্লাই লাইন হচ্ছে তৃণমূল’। এছাড়াও বাম নেতৃত্বের কথায় বার বার উঠে এসেছে বিজেপি ক্রমশ তৃণমূলের বি-টিমে পরিণত হচ্ছে।
অন্য একটি সূত্র অনুসারে, বিজেপিতে গণহারে তৃণমূল নেতা কর্মীদের যোগদানে বিজেপির পুরোনো কর্মীরাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন এবং তাঁদের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে একনিষ্ঠভাবে বিজেপি করার পর অনেক জায়গাতেই তাঁদের মাথার ওপর এসে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা বসে যাচ্ছেন। যার ফলে বহু জায়গাতেই দলের কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। যার প্রভাব আসন্ন নির্বাচনের ফলাফলে পড়তে পারে বলে কিছুটা আশঙ্কিত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ দমন করতেই আপাতত গণহারে দলবদল করে বিজেপিতে ঢোকার রাস্তা তাই বন্ধ হতে চলেছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।