WB BJP: বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহ জারি, পদ পেয়েও ইস্তফা দিলেন কলকাতার বিজেপি নেত্রী

বরখাস্ত হওয়া রীতেশ তিওয়ারি টুইটে লিখেছেন, ‘বিজেপি থেকে আর কাউকে বরখাস্ত করার দরকার নেই। ভার্চুয়াল চক্রবর্তী ও টুইটার মালব্য দলে থাকলেই সব হয়ে যাবে।’
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

গেরুয়া শিবিরে এতদিন বিক্ষোভের কারণ ছিল আদিদের পদ না পাওয়া। তা নিয়েই দলে অস্বস্তি বাড়ছিল। আর এবার কমিটিতে জায়গা পেয়েও ইস্তফা দিলেন কলকাতার প্রাক্তন কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার জেরে ফের দলীয় দ্বন্দ্ব আরও একবার সামনে চলে এল। ফলে রাজ্য বিজেপিতে ডামাডোল আরও বেড়ে গেল।

কেন হঠাৎ কাউন্সিলর ইস্তফা দিলেন? কারণ পর্যালোচনা করতে গিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্য নেতৃত্বের। তাঁর এই ইস্তফা দেওয়া নিয়ে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে নিশানা করছেন বরখাস্ত হওয়া নেতারা।

বৃহস্পতিবার বিজেপির উত্তর কলকাতার যে জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়, তাতে সহ-সভাপতি করা হয় কলকাতার পাঁচবারের কাউন্সিলর সুনীতা ঝাওয়ারকে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি সভাপতি কল্যাণ চৌবের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন।

চিঠিতে ব্যক্তিগত কারণে জেলা কমিটির সহ-সভাপতির পদে কাজ চালাতে পারবেন না বলে উল্লেখ করেন। তবে, দলের কর্মী হিসাবে কাজ করবেন তিনি। বহুদিনের নেত্রীর এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে জল্পনা শুরু হয়। রাজনৈতিক মহলে এই ইস্যুতে একটা প্রশ্ন ওঠে, কল্যাণ চৌবে অপেক্ষাকৃত নতুন মুখ। কিন্তু সুনীতা কয়েক দশকের চেনা মুখ। তাহলে কি তিনি কল্যাণের নেতৃত্বে কমিটিতে থাকতে চান না?

পাঁচবার পদ্ম প্রতীকে জয়ী সুনীতা কলকাতা পুরনিগমের ভোটে ৪২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পরাজিত হন। পদ্ম শিবিরে অবশ্য কান পাতলে গুঞ্জন শোনা যায় যে, সুনীতা ঝাওয়ারের শ্বশুর, স্বামী বহুদিনের বিজেপি কর্মী। রাজ্য কমিটি, জেলা সভাপতি পদে তাঁরা কাজ করেছেন। এহেন পরিবারের এক সদস্যাকে অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জেলা সভাপতির নেতৃত্বে কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু বিতর্ক বাড়াতে চাননি। সরে গিয়েছেন সুনীতা ঝাওয়ার।

এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বিদ্রোহী বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারি। তিনি ফের অমিতাভ চক্রবর্তী ও অমিত মালব্যকে নিশানা করে টুইটে লিখেছেন, ‘বিজেপি থেকে আর কাউকে বরখাস্ত করার দরকার নেই। ভার্চুয়াল চক্রবর্তী ও টুইটার মালব্য দলে থাকলেই সব হয়ে যাবে।’

ছবি - প্রতীকী
WB BJP: 'বিজেপিতে এসে তৃণমূলের বি টিম হয়ে কাজ করছে' - বরখাস্ত রীতেশের নিশানায় বিজেপি নেতৃত্ব

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in