সঠিক বেতন, স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকৃতির দাবিতে বিক্ষোভ আশাকর্মীদের - দাবি না মানলে কর্মবিরতির ডাক

তাঁদের অভিযোগ, নামেই তাঁরা স্বেচ্ছাসেবী। ২৪ ঘন্টা বাধ্যতামূলক শ্রমে একেবারে বিধ্বস্ত অথচ শ্রমের সঠিক মূল্য তাঁরা পাচ্ছেন না।
বিক্ষোভ আশা কর্মীদের
বিক্ষোভ আশা কর্মীদেরনিজস্ব ছবি

শুক্রবার কলকাতার রানী রাসমণি রোডে ১৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় কয়েক হাজার আশাকর্মী। দাবি না মানলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, নামেই তাঁরা স্বেচ্ছাসেবী। ২৪ ঘন্টা বাধ্যতামূলক শ্রমে একেবারে বিধ্বস্ত অথচ শ্রমের সঠিক মূল্য তাঁরা পাচ্ছেন না।

২০০৫ সালে গ্রামীণ এলাকায় মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে ন‍্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনের অধীনে আশা কর্মী প্রকল্প তৈরি হয়। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত তাদের কোনো রকম দাবি মানা হয়নি বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। তাই আজ তাঁরা রানী রাসমণি রোডে ১৫ দফা দাবি নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

তাঁদের দাবিগুলো হলো -

১) আশা কর্মীদের উৎসাহ ভাতা আটটি হেডে বিভক্ত করে পাঠানো চলবে না। একসাথে দিতে হবে। ন‍্যূনতম বেতন ২১ হাজার টাকা করতে হবে।

২) বিভিন্ন জেলার বকেয়া ইন্সেন্টিভ অবিলম্বে দিতে হবে। দুয়ারে সরকার-খেলা-মেলা প্রভৃতি অতিরিক্ত ডিউটিতে টাকা বরাদ্দ করতে হবে।

৩) আশা কর্মীদের সরকারি স্বাস্থ্য কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে।

৪) ফিক্সড বেতন চালু করতে হবে।

৫) বিনা শর্তে বরাদ্দ টাকা দিতে হবে।

৬) আশা কর্মীদের জন্য মেটারনিটি লিভ, ক্যাসুয়াল লিভ, অন লিভ দিতে হবে।

৭) কাজের জন্য স্মার্টফোন প্রয়োজন। আশা কর্মীদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও ৩০০ টাকা রিচার্জ করে দিতে হবে।

৮) কোভিড-১৯ এর কাজের জন্য বরাদ্দ ১০০০ টাকা অবিলম্বে দিতে হবে। ভ্যাকসিন ক্যাম্পে ডিউটির জন্য বরাদ্দ টাকা ও টিফিন দিতে হবে।

৯) করোনায় মৃত ও আক্রান্ত কর্মীদের ঘোষিত টাকা দিতে হবে।

১০) কর্মরত অবস্থায় কোনো কর্মীর মৃত্যু হলে তাকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

১১) গুরুতরভাবে কেউ অসুস্থ হলে তাঁর টাকা কাটা যাবে না।

১২) কোন আশা কর্মীর ডেলিভারি হলে তাঁকে পূর্ণাঙ্গ পারিশ্রমিক দিতে হবে।

১৩) কাজের সুবিধার জন্য সাইকেল, সুতির বস্ত্র দিতে হবে।

১৪) ভি এইচ এন ডি, জন-সমীক্ষকদের টাকা সকলকে দিতে হবে।

১৫) পালস পোলিও বরাদ্দ বাড়িয়ে প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে দিতে হবে।

রাজ‍্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশাকর্মীরা এদিন ধর্মতলায় আসেন বিক্ষোভ দেখাতে। এর আগে জেলাভিত্তিক বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের রাজ‍্য সম্পাদিকা ইসমেতারা খাতুন জানিয়েছেন, আশাকর্মীদের মূল কাজ গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য পরিষেবা দেওয়া। কিন্তু তাঁদের দিয়ে নানা প্রকল্পের কাজ করানো হচ্ছে। কোভিডের শুরু থেকে সামনের সারিতে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। অথচ তাঁদের কোনো স্থায়ী বেতন কাঠামো নেই।

বিক্ষোভ আশা কর্মীদের
Forbes India-র প্রভাবশালী মহিলাদের তালিকায় ওড়িশার আদিবাসী আশাকর্মী মাতিলদা কুল্লু

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in