
১৬ মার্চ, কলকাতা- কলকাতা পুরসভার পানীয় জল খেয়ে অসুস্থ হওয়ার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। জল দূষণের জেরেই এই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার জেরে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত পুর কর্মী ভুবনেশ্বর দাস (৫২) থাকতেন ভবানীপুরে শশীশেখর বসু রোডে পুরসভার শ্রমিক আবাসনে। আদি বাড়ি ওড়িশায়। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন তিনি। এই জল খেয়ে আলিপুর সংশোধনাগারের এক বিচারাধীন মহিলা বন্দির মৃত্যু হয়। তার নাম রিমকি তামাং। এই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রায় ৭০ জন। তাঁদের মধ্যে কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, কেউ বা বাড়িতে। শশীশেখর বসু রোড এবং আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার-সহ ৭৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে জল দূষণ হয়েছে।
কারা দফতর জানাচ্ছে, ওই সংশোধনাগারে আরও চারজন বন্দি অসুস্থ। রবিবার রিমকি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ফের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। কয়েকদিন আগে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলের কল থেকে ময়লা জল বেরোতে দেখা যায়। সেই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। মৃত ভুবনেশ্বরের জামাই ও মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জামাই রাজেন্দ্র কুমার দাস জানান, দিন সাতেক আগে চৌবাচ্চার জল খেয়ে অসুস্থ বোধ করেন তাঁর শ্বশুরমশাই। ঘন ঘন বমি, মলত্যাগ শুরু হয়। তাকে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ন্যাশনাল মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। দু'জায়গাতেই করোনা পরীক্ষা করতে হত। তাই শেষপর্যন্ত পার্কসার্কাসের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় শনিবার সকালে। ওই দিন রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম পুরসভার গাফিলতি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ভবানীপুরে পানীয় জল থেকে সংক্রমণে কথা তিনি সোমবারই জানতে পেরেছেন। তিনি জল সরবরাহ বিভাগের ডিজিকে ঘটনাস্থল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুরসভার আগেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল। স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার জানান, খবর পেয়ে ব্লিচিং পাউডার মেশানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকায় জলের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন