TMC: শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ তৃণমূলের প্রতিনিধিদল

শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরই এক সময়কার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফিরোজা বিবি।
শুভেন্দু অধিকারী
শুভেন্দু অধিকারীফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরই এক সময়কার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফিরোজা বিবি। সারদা-নারদা মামলায় শুভেন্দুকে গ্রেফতারির দাবি নিয়ে মঙ্গলবার রাজভবনে যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। সেই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন নন্দীগ্রামের মা বলে পরিচিত ফিরোজা বিবি, যিনি বর্তমানে পাঁশকূড়া পশ্চিমের বিধায়ক।

সারদা-নারাদা সহ একাধিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে তলব বা গ্রেফতার করছে না, এমনটাই অভিযোগ তুলে রাজ্যজুড়ে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। এর মধ্যে একটি - রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া। ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বাধীন এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন ফিরোজা বিবি।

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মৃতদের মধ্যে ফিরোজা বিবির ছেলে শেখ ইমদাদুলও ছিলেন। এরপর ফিরোজা বিবিকে সামনে রেখে তৎকালীন শাসকদল সিপিআইএমের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনে নামেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফিরোজা বিবিকে নন্দীগ্রামের শহীদের মা অ্যাখ্যা দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন ফিরোজা বিবি। মূলত শুভেন্দু অধিকারীই তাঁকেই রাজ্য রাজনীতির প্রথম সারিতে এনেছেন বলা যায়। এবার সেই শুভেন্দুকেই গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে সোমবার বিধায়ক ফিরোজা বিবি জানিয়েছেন, "১৯৯৮ সাল থেকে আমি তৃণমূল করি। তখন শুভেন্দু অধিকারী এই দলে আসেননি। তৃণমূল করতাম বলে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে আমার ছেলেকে গুলি করে মারা হয়েছিল। দল তখন শুভেন্দু বাবুকে দায়িত্ব দিয়ে নন্দীগ্রামে পাঠিয়েছিল। তাই তাঁর সাথে যোগাযোগ ছিল আমার। কিন্তু দলের সাথে বেইমানি করলে তাঁকে মাথায় তুলে আমি নাচতে পারবো না।"


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজভবনে স্মারকলিপি জমা দেওয়া ছাড়াও সোমবার কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূল।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in