Parliament Attack: সংসদে বিক্ষোভ কাণ্ডে ধৃত ললিত ঝায়ের বঙ্গ যোগ ঘিরে তরজায় রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দল

People's Reporter: শুভেন্দু জানান, বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ললিতের ছবি তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজ্যের শাসক দল এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। তাই এর তদন্ত করা দরকার।
মূল অভিযুক্ত ললিত ঝা
মূল অভিযুক্ত ললিত ঝাছবি সংগৃহীত

সংসদে বিক্ষোভ কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত ললিত ঝায়ের সঙ্গে বঙ্গ যোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দলের তরজা।

প্রসঙ্গত, বুধবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন হঠাৎ দর্শকাশন থেকে দুই যুবক লাফিয়ে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর তারা হলুদ ধোঁয়া স্প্রে করতে শুরু করে। যার ফলে তৎক্ষণাৎ সংসদ কক্ষে হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। প্রশ্ন ওঠে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে।

দিল্লি পুলিশ তদন্তে নেমে হামলার মূল অভিযুক্ত ললিত ঝায়ের সঙ্গে বাংলার যোগ খুঁজে পায়। জানা গেছে ললিত বহু বছর ধরেই কলকাতায় বসবাস করছেন। আর এরপরেই বিজেপি ললিত ঝায়ের সঙ্গে তৃণমূল যোগের অভিযোগ তোলে। পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ রাজ্যের শাসক দলের।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যখন নিজের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার হ্যান্ডেলে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে ললিত ঝায়ের দুটি ছবি শেয়ার করে দাবি করেন, ললিত যুব তৃণমূলের পদাধিকারী। এই দাবি করার পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার একই অভিযোগ তোলে রাজ্যের বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু জানান, বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ললিতের ছবি তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজ্যের শাসক দল এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। তাই এর তদন্ত করা দরকার।

বিজেপির এই অভিযোগের পাল্টা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, যদি দলের কোনো নেতা ললিতের পরিচিত হয়ে থাকেনও তাও ললিতকে সংসদে ঢোকার জন্য পাস দেয়নি। কিন্তু বিজেপি দিয়েছে। ললিত যদি তৃণমূলের নেতা হন, তাহলে বিজেপি তাকে পাস দিলেন কীভাবে? উল্লেখ্য, কর্ণাটকের মাইসুরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অফিস থেকে বিক্ষোভকারীদের পাস দেওয়া হয়েছিল।

এই নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, হামলাকারীদের যে বিজেপি নেতা পাস দিয়েছে তাঁকে অবিলম্বে সংসদ ভবন থেকে বহিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সংসদ ভবনে এসে বিবৃতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই ঘটনায় সংসদে এসে বক্তব্য রাখার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধী সাংসদরা। গত দুদিন ধরে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন বিঘ্নিত হচ্ছে এই কারণে। ইতিমধ্যে, ১৪ জন বিরোধী দলের সাংসদকে বহিষ্কার করাও হয়েছে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in