TMC-BJP: অভিষেকের নাম করে পুরপ্রধানের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি! নাম জড়াল বিজেপি বিধায়কের

People's Reporter: ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে কালনায়। জানা যাচ্ছে, কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তের কাছে অভিষেকের নাম করে তোলা চেয়ে ফোন করা হয়।
অভিষেক ব্যানার্জি
অভিষেক ব্যানার্জিফাইল চিত্র
Published on

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ। দলেরই এক পুরপ্রধানের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। দেওয়া হয়েছিল হুমকিও। ঘটনায় এমএলএ হোস্টেল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক বিজেপি বিধায়কেরও।

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে কালনায়। জানা যাচ্ছে, কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তের কাছে অভিষেকের নাম করে তোলা চেয়ে ফোন করা হয়। কিছু নথি দেখিয়ে ধাপে ধাপে টাকা চাওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে। পুরপ্রধান থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করতেই তদন্তে নামে পুলিশ। ফাঁদ পাতে পুলিশ। সেই মত বৃহস্পতিবার এমএলএ হোস্টেলে দেখা করতে যান পুরপ্রধান। সঙ্গে পুলিশের আধিকারিকরাও ছিলেন। সেখান থেকেই ওই তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম জুনায়েদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক এবং শেখ তসলিম। তিন জনই হুগলির বাসিন্দা। জানা যায়, এমএলএ হস্টেলের ঘরটি কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিল রঞ্জনের নামে বুক করা হয়েছিল। যদিও এই নিয়ে বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য, ‘হস্টেলের ঘর বুক করতে হয় বিধায়কের লেটারহেডে। আমি এ রকম কাউকে কোনও লেটারহেড দিইনি। হস্টেলের ঘর কী ভাবে বুক হল সেটা হস্টেল সুপার বলতে পারবেন। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। তৃণমূল তো নিজেই তোলাবাজি করে। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা’। শুক্রবার রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের তরফে কিছুই জানানো হয়নি।

হস্টেলের সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছ থেকে এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বিধায়ক হস্টেলের সুপারিন্টেন্ডেন্টকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। যাঁকে ঘর দেওয়া হয়েছিল, তাঁর নাম ও আধার কার্ডের নম্বর রেকর্ড করা হয়েছিল। নিরাপত্তার দিক থেকে যতটা সম্ভব, সবটাই করা হয়। কিন্তু আমাদের জানা থাকে না, কার সুপারিশে কে ভিতরে ঢুকছেন।” 

অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে ফোন করছি বলে চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে ফোন করা হয়েছিল। টাকা চাওয়া হয়েছিল ওঁর কাছে। আমাকে এই ঘটনা জানানোর পরেই আমি যেতে বারণ করেছিলাম। তা সত্ত্বেও আনন্দ দত্ত গিয়েছিলেন। তবে পুলিশকে জানিয়েই গিয়েছিলেন। এর পর পুলিশই অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরে’।

অভিষেক ব্যানার্জি
মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধের জায়গা দেবে কেন্দ্র, বিতর্কের মধ্যে রাতেই বিবৃতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in